ওয়েব ডেস্ক : সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। এই মূহুর্তে মাদক পাচারের সাথে রিয়ার যোগসাজশ রয়েছে কিনা তা নিয়েই সরগরম নেটদুনিয়া৷ এর মাঝেই আরও একধাপ এগিয়ে ফের রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিং৷ তিনি বলেন, ” রিয়া চক্রবর্তীই দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলেকে বিষ খাইয়ে এসেছে। ওই-ই খুনি”৷ সুশান্তের বাবার এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র সুশানকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ তুলেই থেমে থাকেননি কেকে সিং। একই সাথে অবিলম্বে রিয়াকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তিনি। এদিন কেকে সিং বলেন, “কোনওরকম দেরি না করেই যত দ্রুত সম্ভব রিয়া এবং তাঁর দলবল, যাঁরা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের গ্রেপ্তার করা উচিত পুলিশের।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সুশান্তের পরিচারক সুশান্তের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। জানা যায় যে, সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যেই নাকি মাদক সেবন করতেন অভিনেতা।
এবিষয়ে সুশান্তের পরিচারক আরও দাবি করেন, সুশান্ত সপ্তাহে ২ বার যখন পার্টি করতেন, সে সময় হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা নিজেই তাঁর জন্য মাদক বানাতেন। এমনকী মৃত্যুর আগেও পরপর তিন দিন সুশান্ত মাদক সেবন করেছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই এক মাদক ব্যাবসায়ীর সাথে রিয়া চক্রবর্তীর ২০১৭ সালের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায় রিয়া গৌরব নামে ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে একটি মাদকের খোঁজ করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তারপর থেকেই রিয়াও মাদকাসক্ত ছিলেন বলে দাবি উঠেছে নেটিজেনদের তরফে। অন্যদিকে, সুশান্তের চায়ে কোনও একটা ওষুধ চার ফোঁটা মেশাতেন রিয়া, এমনটাও শোনা গিয়েছে।
এদিকে ইডি, সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার সুশান্ত মামলায় মাঠে নামলেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। একসাথে তিনটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি ঘটনার তদন্তে নামায় স্বাভাবিকভাবেই একপ্রকার চাপের মুখে পড়েছেন রিয়া এবং তাঁর পরিবার। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডিআরডিও গেস্ট হাউজে নারকোটিক্স বিভাগের তরফে লাগাতার জেরার মুখে পড়েছেম সিদ্ধার্থ পিঠানি, নীরাজ সিং ও রজত মেওয়াতি। তবে শুধুমাত্র এই তিন জন নয় একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে সুশান্তের বাড়ির ওয়াচম্যানকেও। ওদিকে সিবিআই গেস্ট হাউজে হাজির রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীও। তাঁর কতটা যোগ ছিল মাদকচক্রের সঙ্গে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এসবের মাঝে ইতিমধ্যেই সুশান্তের বাবা ও দিদি শ্বেতা রিয়ার গ্রেফতারের দাবি তুলছেন।