শুক্রবার , সবং কৃষি আধিকারিকের দপ্তরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সাহায্যের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার আভিযোগ উঠল রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভূঁইয়া গোষ্টির লোকেদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সবংয়ের কৃষি আধিকারিকের ঘরের মধ্যেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ভূঁইয়া বিরোধী গোষ্টির সমর্থকরা। বিষয়টা এতটাই উত্তেজনা প্রবন হয়ে দাঁড়ায় যে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসককে ফোন করে তদন্তের আশ্বাস দিতে হয় এবং তারপরেই প্রশমিত হয় ক্ষোভ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার সবং বিডিও অফিসে কৃষি আধিকারিকের ঘরে এদিন পতাকা ছাড়াই হাজির হয় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য। এঁরা সব্বাই তৃণমূলের টিকিটেই নির্বাচিত। কৃষি আধিকারিকের কাছে এঁরা দাবি করেন ক্ষতিপূরন পেয়েছেন এমন কৃষকদের তালিকা দিতে। আভিযোগ কৃষি আধিকারিক তা দিতে পারেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিক্ষোভকারীরা জানান, ‘দুর্নীতি কী পাহাড় প্রমান তার প্রমান হল মোহাড়, ভেমুয়া, বিষ্ণুপুর এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯৭৪জন পানচাষিকে ক্ষতিপূরন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল সমগ্র সবংয়ে পান চাষ করেন জেলার উদ্যান বিভাগে নথিভুক্ত সংখ্যাটি সাড়ে তিনশ মত। তাহলে বাকি টাকা কে পেল? আমাদের কাছে খবর আছে বাকিদের ১০০০/২০০০ করে টাকা দিয়ে পুরোটাই পকেটে ঢুকিয়েছে সাংসদের লোকেরা। তাহলে কী পরিমান টাকা লুট হয়েছে সেটা ভেবে নিন।”
কৃষি আধিকারিকের সামনে তথ্য পেশ করলেন মানস ভুঁইয়া বিরোধী গোষ্টির লোকেরা প্রশ্ন তোলেন কৃষকদের ক্ষতিপূরন বাবদ যে ৬০হাজার আবেদনপত্র ছাপানো হয়েছিল হয়েছে একটি সূত্রে জান সবং ১৩টি অঞ্চলের ক্ষতি গ্রস্তদের জন্য তা গ্রামপঞ্চায়েত গুলিকে না জানিয়ে কেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিলি করা হয়েছে? বিক্ষোভকারীদের দাবি এই ৬০ হাজারের মধ্যে অন্ততঃ ২০হাজার আবেদনের টাকা হাপিস করে দেওয়া হয়েছে বেনামে আবেদন করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিক্ষোভকারিরা এদিন আরও আভিযোগ করেছেন বিডিও অফিসের আধিকারিকদের সংগে মিলিত ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তরুণ মিশ্র একের পর এক দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। যেমন কৃষি যন্ত্রাংশ কোন কোন চাষীদের বরাদ্দ করা হবে সেই সম্পর্কেও স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা না করে নিজেরাই ঠিক করে নিচ্ছেন এবং সব এক তরফা ভাবে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে মানস ভূঁইয়ার অনুগামীদের।
বিক্ষোভকারিরা দাবি করেন, ‘আমাদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর, কোনও তথ্য হাজির করতে পারেননি কৃষি আধিকারিক। আর এ কারনেই আমরা দিনভর তার অফিসেই বিক্ষোভ অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেই। এই খবর জানতে পেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের মাননীয়া জেলা শাসক রশ্মি কমল ফোনে আমাদের বলেন যে তিনি জেলা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সংগে আলোচনা করবেন এবং যদি নিয়ম বহির্ভূত কিছু হয় তবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও সংযুক্ত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরই আমরা অবস্থান তুলে নিয়েছি ঠিকই কিন্তু এর শেষ দেখেই আমরা ছাড়ব।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বেলা ১টা নাগাদ অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে সমস্ত আভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তরুন মিশ্র বলেন, ”কাদের ক্ষতিপুরন দেওয়া হবে তা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানদের সংগে কথা বলেই ঠিক হয়েছে। যারা নিজেরা স্কুলের রড চুরি করে ধরা পড়ে তারাই দেখছি দুর্নীতির আভিযোগ আনছে। আর সবংয়ে যারা তৃণমূল করে তারাই মানস ভূঁইয়ার সংগে রয়েছে বাকিরা বিজেপির সংগে আঁতাত করে আছে বলেই জানি।”