নিজস্ব সংবাদদাতা: লক ডাউনের মধ্যেই সুখবর রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য। জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর চলতি মাসেই প্রকাশিত হতে পারে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। এই সংক্রান্ত কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
নিয়ম অনুযায়ী সামনের বছরের মাঝামাঝি রাজ্য বিধান সভা নির্বাচন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মে জুনেই হতে পারে সেই নির্বাচন হতে পারে। তার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় রাজ্য। সে ক্ষেত্রে চলতি আর্থিক বর্ষ অর্থাৎ মার্চ মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ পদে মোট ৩৩,০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয়ে এই নিয়োগ হতে চলেছে।
বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ ও প্রয়োজনীয় সৃষ্ট নতুন পদগুলির ভিত্তিতে একটি তালিকা প্রস্তুত করার পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই পদ গুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত সিলমোহর পড়ার পরই তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের অর্থ দপ্তরে। সেখানে অনুমোদন পাওয়ার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবিষয়ে রাজ্য অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কোন দপ্তরে কত জন কর্মী নিয়োগ হবেন, তা সবিস্তারে জানা যায়নি।
সরকারের তরফে সুনির্দিষ্ট ভাবে এখনও শূন্যপদ গুলির কথা জানানো না হলেও একটি প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিয়োগ হতে চলেছেন গ্রুপ ‘সি’ কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে শূন্যপদ রয়েছে মোট ১৭,৭২৩টি। এ ছাড়া, গ্রুপ ‘বি’ কতর্মীদের ক্ষেত্রে মোট ৯,১২৭ শূন্যপদে নিয়োগ হবে। গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ হবেন মোট ৬,৭৮০ জন। পাশাপাশি, বিশেষ ভাবে শারীরিক ক্ষমতা সম্পন্নদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে কিছু শূন্যপদ।
সরকারি নিয়োগের স্বার্থে ২০১২ সালে পাশ হয়েছে পশ্চিবঙ্গ কর্মী নিয়োগ আইন (স্টাফ সিলেকশন অ্যাক্ট)। সেই আইন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে গ্রুপ ‘সি’ ও ‘ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে।
পরবর্তীকালে অবশ্য বিধানসভায় নতুন আইন পাশ করানোর পরে স্টাফ সিলেকশন কমিশন রদ করে দেয় রাজ্য প্রশাসন। ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে গ্রুপ ‘সি’ ও ‘ডি’ পদে নিয়োগের উদ্দেশে দায়িত্ব অর্পণ করে রাজ্য অর্থ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই জানা যাবে সংরক্ষিত ও সাধারনের জন্য বরাদ্দ শূন্যপদ গুলির প্রকৃত অবস্থান, জানা যাবে নির্দিষ্ট পদগুলির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা তবে ক্লাশ এইট পাশ থেকে শুরু করে মাধ্যমিক হয়ে গ্র্যাজুয়েট সমস্ত ক্ষেত্রেই এই সুযোগ নেওয়ার জায়গা থাকছে।