Homeএখন খবরখড়গপুরে করোনা বিস্ফোরন! আক্রান্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহা! ১ বছরের শিশু থেকে...

খড়গপুরে করোনা বিস্ফোরন! আক্রান্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহা! ১ বছরের শিশু থেকে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ সহ আক্রান্ত ৭৮

নিজস্ব সংবাদদাতা: শহরের প্রখ্যাত চিকিৎসক অরবিন্দ কুমার জয়সওয়ালের পর এবার আক্রান্ত হলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহা। বৃহস্পতিবার করোনা বিস্ফোরনে ফেটে পড়েছে খড়গপুর শহর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট মোতাবেক খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল আর রেল হাসপাতাল মিলিয়ে এদিন নতুন করে ৭৮ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে , যাঁর মধ্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহাও রয়েছেন। রয়েছেন বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবারও।

১৯শে আগস্ট কোনও পজিটিভ ছিলনা কিন্তু কাঁটা হয়েছিল ওই দিন আসা ১১২টি অমীমাংসিত নমুনা। সোমবার এবং মঙ্গলবার যে ৩৫০টি নমুনা খড়গপুর হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় তার মধ্য থেকেই আসে ওই ১১২টি অমীমাংসিত নমুনা। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কা ছিলই যে ফের বড়সড় সংক্রমনের মুখে পড়তে চলেছে শহর। কিন্তু তা যে এতবড় বিস্ফোরনের আকার নেবে ভাবতেই পারেনি কেউ। এদিন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পাঠানো নমুনা থেকেই ৮২ জন পজিটিভ আসে যার মধ্যে ৯ জন শহরতলি অথবা বাইরের। বাদ বাকি ৭৩ জনের সঙ্গে রেল এলাকার ৫ নতুন আক্রান্তকে ধরে শহরের মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৮ জনে।

এদিন আক্রান্তের তালিকায় উঠে এসেছে শহরের বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহার নাম। ৫০ বছর বয়সী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্ত্রী খড়গপুর রেল হাসপাতালের চিকিৎসক তাই তিনি নমুনা দিয়েছিলেন রেল হাসপাতালে। রেলের বাংলোর ঠিকানায় থাকা ওই চিকিৎসকের পজিটিভ আসে বৃহস্পতিবার। যদিও তিনি ভাল আছেন বলেই জানা গিয়েছে। খড়গপুর বাসীর প্রার্থনা অরবিন্দ জয়সওয়ালের মত ভাল হয়ে উঠবেন তিনিও। চিকিৎসকের পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সের স্বামী এবং ছেলের। পাশাপাশি কয়েকজন চিকিৎসাকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্তের তালিকায় ১,২,৮ এবং ১২বছরের চারজন শিশু রয়েছেন।

বয়স অনুযায়ী শ্রেণী বিন্যাসে দেখা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪৯ বছরের মানুষেরাই সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের এই সংখ্যাটা ৩১ জন। অন্যদিকে ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন। ১ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন বাকি ৫০ বছরের উর্ধে রইল ১৮জন। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে পেশার তাগিদে ঘরের বাইরে বেরুতে বাধ্য হওয়া মানুষ কিংবা কোভিডকে গুরুত্ব না দিয়ে অকারন বাইরে বেরুনো তরুণ সমাজই আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

শহরের এলাকাগত বিন্যাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মিলেছে ছোট ট্যংরা থেকে এখানে ২টি পরিবারেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। অন্য দুটি পরিবার থেকে ৩জন মিলিয়ে মোট ১০ আক্রান্ত এখানকারই। এরপর খরিদা এবং ভগবানপুর। ৫জন করে ১০জন ওই দুটি এলাকা থেকে মিলেছে তারমধ্যে ৩ জন খরিদা গুরুদুয়ারার। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের আবাসন থেকেই ৪জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানিয়েছেন একজন নার্সের স্বামী ও সন্তান আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে সাউথ সাইড ধোবিঘাট থেকে, ধ্যানসিং ময়দান ও সংলগ্ন সুভাসপল্লী এলাকা থেকে ৪জন আক্রান্তকে পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে মালঞ্চ, বিধানপল্লী, ঝাপেটাপুর, গোলবাজার, কমলাকেবিন, ইন্দা কলেজ সংলগ্ন এলাকা, সাঁজোয়াল, পুরিগেট ইত্যাদি এলাকাগুলি থেকে ১থেকে ২ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে ২০ আগস্ট শুধুমাত্র আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় খড়গপুর শহরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৮ জনে। এর বাইরে আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় আরও বেশকিছু পজিটিভ পাওয়া গেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular