✍️কলমে: সৌহার্দ সিরাজ
স্বপ্ন ও অভিমানের ঘুম
এখনও ঘুমোয়নি স্বপ্নের নীতিশাস্ত্র
সহজে ওরা ঘুমোবে—এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।
যন্ত্রণার বন্ধ্যা রংয়ের স্রোত বয়ে যায়
তাতে ভিজে যায় অপেক্ষার শরীর
হিসাব ভেসে যায়
পুড়ে যায় সুখবর
স্বপ্ন কিন্তু হাল ছাড়ে না; ঘুমোয় না
সুবর্ণ সপ্তগ্রামের রূপকথারা জাগিয়ে রাখে তারে।
মহাকাল এ কথাই বলে—
স্বপ্ন ঘুমিয়ে গেলে জেগে ওঠে মৃত্যু
সাক্ষীরা সব নীরব হয়ে যায়
কারা যেন—
চেয়ে থাকার শ্লেট থেকে সব যোগ-বিয়োগ
একটানে মুছে ফেলে দেয় শর্ত ছাড়াই।
অভ্যাস মানুষকে যে দাসত্বে বাঁধে
তার গভীরে লুকিয়ে থাকে
আকুল বেরিয়ে পড়ার
দুরন্ত আবেগ
মনের ভেতরে ছোট ছোট ব-দ্বীপে
ডানা মেলে উড়তে থাকে ভূগোলের নদীরা
স্বপ্ন তখন চরম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ঘুমের দেশ পরিত্যাগ করে।
জেগে থাকো স্বপ্নের শাস্ত্রজ্ঞ
তুমি আছ বলেই আছি আমরা ;
জীবন সঞ্চালনের পথে দেখা হোক
তোমার আমার বারবার।
দুঃখ কিংবা আরাধনা
এখন কেউ কারো চিৎকার শোনে না।
এর কারণ সম্ভবত এমন হতে পারে—
যিনি ছাড়ছেন তার ভোকাল কর্ড নষ্ট
যিনি চাচ্ছেন ধরতে তার পর্দা ছেড়া কানের
যদি অন্যভাবে যাই—
বাতাসের ‘0’ মিডিয়াম বিশ্রামে।
দেখ কত—
ধ্রুপদী কান্না
কামাতুর হাসি
ক্ষুধার যন্ত্রণা!
কোনো খবর নেই,খবরের সৎভাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
চোখের কথা কী বলব—
চোখ আছে ; দেখলো না
পাতা নড়ে ; জল আসে না
বন্দরে অবৈধ বেসাতি— কার এত দায়!
নিষিদ্ধ অন্ধকারকে কেউ শত্রু ভাবছে না
ভেসে যাচ্ছে সত্যকাম বনিক বিলাসে
সৌরভ সৌভাগ্য পথ হারিয়েছে
ক্রমাগত রক্তের স্রোতে মিশছে স্বজাতির হাড়
সোনালী পাখির পালক
নারকী পোশাকগুলো আরও হয়ে উঠেছে দামী
কাকে বলব! কাকে বলা যায়!
আমার সম্ভ্রমের পতাকা হতবাক
আমার সমুদ্রের কুমারী ঝিনুক সন্ত্রস্ত
আমার শ্যামলী দুধের ঘ্রাণে বিষ উগরে ওঠে
আমার ইতিহাস স্মৃতিবিদ্ধ বিনষ্ট উঠোন
কাকে বলব! কেউ তো শুনবে না
কাকে দেখাব! সবাই জেগে জেগে ঘুমোয়!
হে আমার মৃত আত্মার তীক্ষ্ণ প্রান্তর
ক্ষমা করো না আমায়
সপ্তরথী ঘেরা অসহায় অভিমন্যুরা পরাজিত হয়
পরাজয় স্বীকার করে না।