ওয়েব ডেস্ক : শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি অশান্তির জেরে শনিবার হুগলির খানাকুলে এক বিজেপি নেতাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এর জেরে শনিবার এই ঘটনায় জড়িত ১৫ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি ৯ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এদিকে বিজেপি নেতার খুনের প্রতিবাদে রবিবার বিজেপির তরফে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকা হয়৷ এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলীয় সমর্থকরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিনের বনধকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই থমথমে খানাকুলের নতিপপুর গ্রাম। বন্ধ সমস্ত দোকানপাট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে একই জায়গায় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল -বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় সংঘর্ষ চলাকালীন খানাকুল ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সুদর্শন প্রামাণিককে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শনিবারই ১৫ জন তৃণমূল কর্মীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালের মধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি নেতার খুনের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকেই ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। সে অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই বন্ধ সমস্ত বাজার, দোকান। রাস্তায় যানবাহন শূন্য। একেবারে থমথমে গোটা খানাকুল ব্লক। খানাকুল ঢোকার মুখে এদিন টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, অবিলম্বে বাকি ৯ জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে৷ এদিকে বিজেপির ডাকা বন্ধের বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ৷ তাদের দাবি, গায়ের জোরে বনধ সফল করতে চেয়েই বিজেপি এভাবে ভয় দেখাচ্ছে। এবিষয়ে জেলা বিজেপি সদস্যদের অবশ্য দাবি, অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি তা না হয়, তাহলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি। এমনটাই হুশিয়ারি দেওয়া হয়৷