Homeএখন খবরস্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকা সদৃশ্য মাস্ক, খড়গপুরে গ্রেপ্তার ৮ ব্যবসায়ী! জাতীয়...

স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতীয় পতাকা সদৃশ্য মাস্ক, খড়গপুরে গ্রেপ্তার ৮ ব্যবসায়ী! জাতীয় পতাকা ধাঁচে মাস্ক পরলে গ্রেপ্তার করা হবে ব্যক্তিকেও

নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্যবসা ব্যবসাই, সে ব্যবসায়ী জাতীয়তাবাদী বা আন্তর্জাতিক যাই হোক না কেন? কথায় আছে স্যাকরা নিজের মা বোনকেও ছাড়েনা অর্থাৎ স্যাকরার কাছে গহনা বানাতে বা সারাতে দিলেও সে নাকি সেখান থেকেও সোনা চুরি করে! হয়ত কথার কথা কিন্তু এই কথার মধ্যেই যে ধারনা প্রকাশ হয় তাহল ব্যবসা ব্যবসাই লাভ ক্ষতির অঙ্কে আপন পর, দেশ বিদেশ বিচার হয়না সচরাচর। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে করোনা আবহেও মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বেল। মানুষের এই আবেগ, ভালবাসাকেও পুঁজি বানাতে ছাড়েনি ব্যবসায়ীর দল, বাজারে নামিয়ে দিয়েছে জাতীয় পতাকার ধাঁচে তিনরঙা মাস্ক। বিকোচ্ছেও দেদার। যে মানুষ জাতীয় পতাকাটিকেই চেনেন কিন্তু তাঁর মর্যাদা কিভাবে রক্ষা করা যায় জানেননা তাঁরা অবলীলায় কিনছেন। ব্যবসায়িক বখরা মিলছে ভালই।

বৃহস্পতিবার করোনা কর্তব্যের পাশাপাশি খড়গপুরের বাজার গুলোতে দিনভর অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খড়গপুর শহর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শহরের গেটবাজার ও কৌশল্যা এলাকা থেকে আটজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু খড়গপুর নয় পুলিশের উদ্যোগে এদিন অভিযান চালানো হয়েছে দাসপুর থানা এলাকার বাজারে। সেখান থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ব্যবসায়ীকে। খড়গপুর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজা মুখার্জী জানিয়েছেন, শুক্রবার, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন আরও জোরালো করা হবে অভিযান। সমস্ত বাজারেই চালানো হবে তল্লাশি।

শুধু বাজারে অভিযান নয়, জাতীয় পতাকার অবমাননা রুখতে রাস্তাতেও নামবে পুলিশ। যাঁরা রাস্তা ঘাটে বা প্রকাশ্য জায়গায় ত্রিবর্ন পতাকা রঞ্জিত মাস্ক পরে বের হবেন তাঁদের সতর্ক করা হবে, প্ৰয়োজনে গ্রেপ্তার করা হতেও পারে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে জাতীয় পতাকা বা তার প্রতিকৃতির অবমাননা আইনত দণ্ডনীয়। মাস্ক এমন একটি পরিধান যা কিনা আমাদের বর্জ্য নিক্ষেপনকে প্রতিরোধ করে। হাঁচি, কাশির ড্রপলেট কিংবা থুথু ইত্যাদি মাস্কের মধ্যে জমা হয়। তাই জাতীয় পতাকার আদলে মাস্ক ব্যবহার করা যায়না।

জাতীয় পতাকা যেমন আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত তেমনই এর মর্যাদা রক্ষা করাও আমাদের কর্তব্য। জাতীয় পতাকাকে পোশাকের অংশ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলা আছে কিন্তু সেই অংশ কোমরের নিচের অংশে ব্যবহার করা যায়না। জাতীয় পতাকা বা তাঁর প্রতিকৃতি রুমাল, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি হিসাবে ব্যবহার করা যায়না। জাতীয় পতাকা দিয়ে বালিশের ওয়ার্ড, বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করা যায়না। জাতীয় পতাকায় কোনো কিছু আবৃত, বহন করা চলেনা ইত্যাদি নানা প্রকার বিধি নিষেধ রয়েছে। ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় পতাকা বা তার আদলের ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।

RELATED ARTICLES

Most Popular