ওয়েব ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট বিধায়কের ভাগ্নের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা বেঙ্গালুরু। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বিধায়কের বাড়ি সামনে এসে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ থানার সামনে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তা সামাল দিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ বিক্ষোভকারীর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা বেঙ্গালুরু শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। এদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাগ্নে। মূহুর্তের মধ্যে সেই পোস্ট নেটদুনিয়ায় ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মঙ্গলবার রাতেই বিধায়কের বাড়ির সামনে উত্তেজিত জনতা ভিড় জমায়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর, কাচের বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। ২-৩টি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থানায় গিয়ে ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। আরও কয়েকজন আহত হন। ঘটনায় প্রায় ৬০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এবিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। হিংসা ও ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না। যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত থেকেই ধরপাকড় জারি হয়েছে৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত ওই বিধায়কের ভাগ্নে-সহ ১১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফের যাতে নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি না হয় তাই গোটা শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।