Homeএখন খবর১১ অমীমাংসিতের হাত ধরে খড়গপুরে নতুন আক্রান্ত ৫, ফের শূণ্য রেল

১১ অমীমাংসিতের হাত ধরে খড়গপুরে নতুন আক্রান্ত ৫, ফের শূণ্য রেল

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরকে স্বস্তি দিয়ে ২৪ ঘন্টায় নামল আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার, করোনা ক্রান্তিকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছিল খড়গপুর শহর। আক্রান্ত ছিল ২৫ জন। এই সংখ্যাটা অবশ্য ছিল খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে যাঁরা নমুনা দিয়েছিলেন তার ওপর ভিত্তি করেই। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নমুনা দিয়েছিলেন অথচ পূর্ব মেদিনীপুরের ঠিকানায় এক যুবককে খড়গপুর গ্রামীন পুলিশ শনাক্ত করে যিনি খড়গপুর ডিআরএম অফিসে কাজ করেন আর বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন খড়গপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লী এলাকায়। মঙ্গলবার সেই যুবককে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্যানেটাইজ করা হয় এলাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সোমবার খড়গপুর শহরের তালিকায় যুক্ত হয় ২৬ জনের নাম।

৯ তারিখ সংগ্ৰহ করা যে নমুনা ১০তারিখ পরীক্ষা হয়েছিল তার মধ্যে থেকেই যেমন ২৬ জন পজিটিভ বের হয়েছিল ঠিক তেমনই খড়গপুর শহরে ওই দিন ১১জনের ফলাফল অমীমাংসিত এসেছিল। সেই অমীমাংসিত ১১টি নমুনা আলাদা করে পরীক্ষা হয় ১১তারিখে যার মধ্যে নতুন করে ৫জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে ছোট ট্যাংরা এলাকার এক ২৯ বছরের যুবক রয়েছেন যিনি ফ্লেক্স ইত্যাদির ব্যবসা করেন। যদিও ইদানিং সেই ভাবে ব্যবসা নেই এবং তিনি সরাসরি খুচরো ব্যবসা করেননা। তাই কী ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বোঝা যাচ্ছেনা। বড়সড় অর্ডার আসলে তাঁর কর্মচারীরাই গোডাউন খুলে দ্রব্য সরবরাহ করতেন। তাহলে তিনি কী কর্মচারীদের দ্বারা সংক্রমিত হলেন? ভাবাচ্ছে বিষয়টা। কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন এবং নিজেকে আইসলেশনে রেখেছেন ওই যুবক।

অন্যদিকে শহরের সারদাপল্লী এলাকায় এক যুবক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে। ৩২ বছর বয়সী এই যুবক পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে জীবন বীমা দপ্তরের ডেভলপমেন্ট অফিসার। জানা গেছে করোনার জন্য কয়েকদিন ছাড়া ছাড়া অফিস করছিলেন তিনি। গত মাসের ৩০তারিখ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে জ্বর অনুভব করেন। জ্বরের মাত্রা বেশ ভাল থাকায় ওষুধ দোকান থেকে ওষুধ কিনে খান এবং ভালো হয়েও যান। ফের এ মাসের ৭ তারিখে অফিসে যান এবং ফের জ্বরে পড়েন তিনি। এরপরই খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা দেন যা প্ৰথমে অমীমাংসিত হয়ে পরে পজিটিভ ধরা পড়ে।

এছাড়াও শহরের ডায়মন্ড টাওয়ার এলাকায় ৭০ এবং ৩৪ বছরের দুই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য আরেক ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন বারবেটিয়া চকে। সব মিলিয়ে খড়গপুর শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৭ জনে। ১১তারিখ রেলের নমুনা থেকে কোনও পজিটিভ মামলা আসেনি। সোমবারের আগের তিনদিন শূণ্য থাকার পর সোমবার ৫ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল রেলে। মঙ্গলবার ফের শূণ্যেই ফিরল রেল।

RELATED ARTICLES

Most Popular