নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতিদিনই জেলা জুড়ে সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে আর সেই সংক্রমনের তালিকায় বেশি বেশি করে জায়গা করে নিচ্ছে খড়গপুর, ঘাটাল, দাসপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই খড়গপুর, ঘাটাল, মেদিনীপুরে নতুন নতুন সেফ হোম তৈরি করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। রবিবার মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ায় ১০০শয্যার একটি সেফ হোমের প্রস্তুতির কাজ তদারক করতে এসে এমনটাই জানালেন, জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গি।
সারেঙ্গি জানিয়েছেন, “আক্রান্তের নিরিখে খড়গপুর, ঘাটাল এবং দাসপুরে সংখ্যাটা বেশি। প্রতিদিনই জেলায় ৪০ থেকে ৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন যার মধ্যে বেশিরভাগই আসছে এই জায়গা গুলি থেকে। তবে আক্রান্তদের ৯৫ভাগই উপসর্গ হীন, সাধারন ফ্লুয়ের মতই। রোগিরা আসছেন, কয়েকদিন থেকে চলে যাচ্ছেন। এঁদের যেহেতু অনেকেরই বাড়িতে আলাদা থাকার ব্যবস্থা নেই তাই ওঁদের জন্যই কয়েকটি সেফ হোম বানানো হচ্ছে। খড়গপুর, ঘাটাল, মেদিনীপুর ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ শয্যা বানানো হচ্ছে।”
জানা গেছে খড়গপুরের সেফ হোমটিতে ৫০ শয্যা করা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা থাকছে, থাকছে অক্সিজেন, অক্সিমিটার ইত্যাদি ব্যবস্থা। আগেই খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের আইশোলেশন ওয়ার্ডটিকে ১০ শয্যার সেফ হোম করার কথা ভাবা হয়েছিল সম্ভবতঃ সেটিকেই ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হবে। একই ভাবে ঘাটাল ও মেদিনীপুরে ২টি করা হবে। মেদিনীপুর তাঁতি গেড়িয়ার তিনতলা বিশিষ্ট প্রস্তাবিত ভবঘুরে আবাস আর ঘাটালের একটি বেসরকারি কারিগরি কলেজকে অধিগ্রহণ করে সেফ হোম করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উপসর্গ হীন করোনা আক্রান্তদের জন্য ৩৫০টি বেড করা হচ্ছে। অন্যদিকে শালবনী আর আয়ুশের মূল করোনা হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। ঘাটাল একটি পৃথক করোনা হাসপাতালও হচ্ছে। এ ছাড়া যদি কারও ঘরে পরিমিত জায়গা থাকে, আলাদা বাথরুম ও অন্যান্য ব্যবস্থা থাকে এবং সেই পরিবেশ পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য দপ্তর যদি সন্তুষ্ট থাকেন তবে তিনি ঘরেই থাকতে পারবেন।সব মিলিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রনেই।
শনিবার রাত পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে করোনাতে আক্রান্ত রয়েছেন ১৪১৭ জন ৷ তাদের মধ্যে রোগমুক্ত হয়েছেন ১১২৭ জন ৷ স্বাস্থ্যদফতরের হিসেব অনুসারে জেলাতে করোনাতে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের ৷ স্বাস্থ্য দফতরের ব্যাখ্যা অনুসারে আক্রান্ত দের মধ্যে নব্বই শতাংশ উপসর্গ হীন ৷ অন্য জটিল রোগ না থাকলে ভয়ের কিছুই নেই। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার মত কিছুই হয়নি।