✍️কলমে: শীঘৃতকৌশিক তন্ময় চক্রবর্তী
কে চেনালো ক্ষত ?
এতো যে রক্তক্ষরণ
বন্ধ করে বিক্রি-বাটা , ধান্দা-ফাঁদ রাসলীলা শেষে
নির্মেদ হয়েছে মিথ্যা আস্ফালন !
কবিতার পাশেই জমিয়েছি ভরাট অন্ধত্ব
সচেতন শব্দের ভেতর তুলে আনি প্রসঙ্গ
কবিতার নামে সজাগ পণ্ডশ্রম !
যদিও ছুঁয়েও দেখে’নি প্রায় কী করুণ
বিশাল চোখের মতো এক তারা
গিটার ছিটকে ফেলে ভেঙেছে কবিতার মুগ্ধতা ! বিষাদ ?
কে শেখালো তাচ্ছিল্য ?
এই’যে এতোসব আসন ভরিয়ে রেখেছি সব উপচার
কবিতার দেশ কাল তাৎপর্য
দমকে ঝমকে শুধু বুঝি না
স্বপ্নবৎ দহনের ভেতর জ্বালা লুকিয়ে
কীভাবে তর্পণ রাখা যায় মন্ত্রহীন হয়ে !
এতসব মূর্খ কথা কবিতার
কেন যে শোনাই নিজেই জানি না
জানে শুধু মেঘ হতে চাওয়া স্বপ্নের নারীরা
জানে রাসলীলা
আর জানে রাতের অন্ধকারে হৈ হৈ হল্লার ভেতর তিরতির কাঁপতে থাকা ছায়ার বিষাদ !
অতলে চক্ষুদান শেষ করে কবিতার দীর্ঘ ইতিহাস !
সার্থকতা আর শূন্যতার ভেতর যে’টুকু দূরত্ব
সেখানেই ওঁত পেতে বসে থাকে
কবিতার মাত্রাছাড়া বাঘ !!