নিজস্ব সংবাদ দাতা: মাত্র ৫দিন হল করোনা মুক্ত হয়ে নিজের বিডিও অফিসের আবাসনে ফিরেছেন কেশিয়াড়ির ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার সৌগত রায় আর তার মধ্যেই বড় সঙ্কটের মুখে পড়ে গেলেন তিনি। এখনও তাঁর করোনা উত্তর পর্বের কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ শেষ হয়নি আর তার মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেলেন তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। তবে এই সঙ্কট কালেও বড় সুরাহা এটাই যে করোনা নেগেটিভ হয়েছে তাঁর ৩ বছর এবং ৪ মাসের দুই শিশু কন্যা। যদিও সমস্যাও কম নয়, এখন কার তত্ত্বাবধানে থাকবে ওই দুধের শিশু দুটি!
উল্লেখ্য মাস খানেক আগেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় বিডিওর স্ত্রীর। তার মাস তিনেক আগেই দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই স্ত্রীর অপারেশনের সময় তাঁর পাশে থেকে বেশ কয়েকদিন সময় দিয়েছেন বিডিও। ৩২ বছর বয়সী স্ত্রীর অপারেশন হওয়ার পরই কেশিয়াড়ি ফিরে আসেন বিডিও সৌগত রায়। ফেরার সময় অসুস্থতা অনুভব করায় অফিস না করে আবাসনেই ছিলেন। এরপর বেলদা গ্রামীন হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন যা শেষ অবধি করোনা পজিটিভ হয়ে যায়।
বিডিও চলে যান শালবনী কোভিড হাসপাতালে। এই সময় দুই শিশুকন্যা ও বাবা মা কে নিয়ে কলকাতা থেকে ফিরে আসেন তাঁর স্ত্রী। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সংসার গুছিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। এরপর ৫দিন আগে বিডিও ফিরে আসেন। অন্তত ২সপ্তাহ তাঁকে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে ঘরের মধ্যেই।
৩০শে জুলাই আগাম সতর্কতা হিসাবেই সংগ্ৰহ করা হয় তাঁর পরিবারের সবারই নমুনা যা ১লা আগস্ট পজিটিভ আসে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় বিডিওর স্ত্রীকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন নাকি বিডিও আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর আবাসন ঠিক মত স্যানেটাইজ করা হয়নি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পরের প্রশ্ন যদি তিনজনকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তবে শিশুদুটি কে দেখবে ? কারন বিডিও নিজেও তাদের দেখতে পারবেননা কারন তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। অন্যদিকে হাসপাতাল এড়িয়ে যদি সবাই মিলে আবাসনে থাকেন তাতেও বিপদ কারন কেউই শিশু দুটি কে স্পর্শ করতে পারবেনা।
সমস্যা আরও যে সবে মাত্র বিডিও অফিসের পরিস্থিতি সামলে স্বাভাবিক কাজ কর্ম শুরু হওয়ার পথে ছিল বিডিও অফিস। এই ঘটনার পর অফিস চালু করা সম্ভব হবে কিনা তা ভাবতে হবে কর্তৃপক্ষকে কারন অফিস কম্পাউন্ডের মধ্যেই বিডিওর আবাসন ফলে কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।