ওয়েব ডেস্ক: সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়ানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালী মেয়েদের নিয়ে নানান কদর্য মন্তব্য করছেন বেশ কিছু নেটাগরিক। এমনকি জাত নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বঙ্গকন্যাদের। কিন্তু শুধুমাত্র নামের পাশে বাঙালী পদবি থাকলেই কি সেক্ষেত্রে নেটিজেনদের আক্রমণের স্বীকার হতে হবে বাঙালীদের? এবিষয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে শনিবার নেটিজেনদের একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
মাস দুয়েক ধরেই রিয়া চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক। কারণটা অবশ্য সকলেরই জানা৷ এর নেপথ্যের কারণ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই গত একমাস যাবৎ জনতার কাঠগড়ায় তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর পর বান্দ্রা থানায় কয়েকঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরও স্বস্তি নেই রিয়ার। প্রতি মূহুর্তে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। তার ওপর আবার দিন কয়েক আগেই সুশান্তের বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশের নজর এখন তাঁর দিকে। সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ, রিয়া সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি সুশান্তকে কড়া ডোজের ওষুধ খাইয়ে তাকে পাগল প্রমাণ করারও চেষ্টা করেছিলেন। এধরণের একাধিক অভিযোগে জর্জরিত রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু নামের পাশে ‘চক্রবর্তী’ পদবীই কাল হল! এর জেরে সমগ্র বাঙালি জাতির মেয়েরা এখন নেটদুনিয়ার কটাক্ষের শিকার। এর জেরেই প্রতিবাদে নামলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
টুইটারে একাধিক মানুষজন যখন বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে কদর্য মন্তব্য করছেন, তখন অন্যদিকে প্রতিবাদী সুরে যোগ্য জবাব দিলেন নুসরত। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন “রিয়া চক্রবর্তী বাংলা আর বাঙালিদের তো জনপ্রিয় করে দিল!” সেই টুইটের উত্তরে পালটা নুসরত বললেন, “তুমি যদি আচমকাই পৃথিবীতে অবতরণ করো, তাহলে বলে রাখি, বাংলা তার নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য সবসময়েই বিখ্যাত। গোটা বিশ্ব আমাদের সত্যজিৎ রায় এবং রবি ঠাকুরকে চেনে। এবার তোমায় আমরা একটু ফেমাস করে দিলাম, যাও!”
একইভাবে নুসরতের ক্ষোভের মুখে পড়লেন আরও এক নেটিজেন। ওই ব্যক্তিকে নুসরাত বলেন, “শুনুন, আমরা বাঙালি মেয়েরা ভাল রান্না করেও তাক লাগাতে জানি। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথা বলো বন্ধ করুন! আপনি বোধহয় এখনও মাছ, মশলা, মিষ্টি চেখে দেখেননি না!” পাশাপাশি এদিন সাংসদ অভিনেত্রী এও সাফ জানিয়ে দেন যে, “কাউকে সমর্থন করে একথা বলছি না। কেউ যদি দোষী হয়, তাহলে আইন নিশ্চয়ই তাকে শাস্তি দেবে। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরিই আসল ঘটনাটা সবার সামনে আসবে। তবে একজনের জন্য সমগ্র জাতির অপমান আমি কখনোই বরদাস্ত করব না!”