Homeএখন খবরকলকাতা পুলিশের সপ্তম করোনা শহিদ হলেন এএসআই তপন চন্দ্র কুমার

কলকাতা পুলিশের সপ্তম করোনা শহিদ হলেন এএসআই তপন চন্দ্র কুমার

কলকাতা ব্যুরো: করোনা জর্জরিত মহানগরে সপ্তম শহিদ হলেন কলকাতা পুলিশের আ্যসিসটেন্ট সাব ইন্সকপেক্টর তপন চন্দ্র কুমার। শুক্রবার মাত্র ৪৯ বছর বয়সে চিৎপুর থানায় কর্মরত ওই আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে এম. আর বাঙুর হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার নানা উপসর্গে ভুগছিলেন পুলিশ আধিকারিক তপনবাবু। পুলিশ সূত্রের খবর, তপনবাবুর করোনা পরীক্ষা করানো হলে গত ২৪ জুলাই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই দিনই তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তপনবাবু বেহালার পুলিশ আবাসনে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক ছেলে ও এক মেয়ে।

তাঁর মৃত্যুর পর চিৎপুর থানা স্যানিটাইজেশনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ওই পুলিশকর্মীর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের ইতিমধ্যে করোরেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। এই নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতা পুলিশের ৭ জন কর্মী ও আধিকারিকের মৃত্যু হল। আক্রান্ত প্রায় ১,১০০। এদের মধ্যে ৯০০ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
শুক্রবার পর্যন্ত মোট সুস্থ পুলিশকর্মীর সংখ্যা ৯০০ র বেশি। তবে আশার কথা গত কয়েক দিন ধরে রোজ গড়ে ৪৫-৫০ জনের মতো করোনায় আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ফিরছেন ৪০-৪৫ জন। ফলে এটা দেখে বলা যেতে পারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি।

ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত এই বাহিনী নিয়ে কাজ করতে কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে না বলেই লালবাজার সূত্রের খবর। তবে পুলিশের একটি সূত্র এটাও জানাচ্ছে, গত কয়েক মাস ধরে এবং বর্তমান সময়ে থানা বা বিভিন্ন বিভাগগুলিতে অভিযোগ দায়ের হওয়ার সংখ্যা খুব একটা বেশি না হওয়ায় তদন্তের চাপ থানাগুলিতে আগের থেকে অনেক কম।লালবাজার জানিয়েছে, সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বেশি হলেও পুলিশকর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁদের মাস্ক পরে এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।

পুলিশকর্মীদের জন্য ইডেনের দু’টি ব্লকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বলেও লালবাজার জানিয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের জন্য পঞ্চম কোয়রান্টিন কেন্দ্র হল। এই কেন্দ্রগুলিতে উপসর্গ থাকা পুলিশকর্মীদের রাখা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রের জানানো হয়েছে, প্রয়াত পুলিশকর্মীর দেহ যথাযোগ্য মর্যাদায় সৎকারের ব্যবস্থা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়েছে মৃত্যু সংবাদ। সঙ্গে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

RELATED ARTICLES

Most Popular