নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাঁকে ঝাঁকে আর.পি.এফ কর্মী আক্রান্ত হওয়ার সময় এতটা ভাবতে হয়নি রেল কর্তৃপক্ষকে যতটা এখন ভাবতে হচ্ছে যখন সংক্রমনের আওতায় চলে এসেছে ডি.আর.এম অফিস কর্মী থেকে সাধারন রেল কর্মীরা। কারন সব হিসাব গুবলেট হয়ে যাচ্ছে এখন।
করোনা সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে রেল তার নিজের কর্মীদের কথা মাথায় রেখে ফিভার ওয়ার্ড, আইসোলেশন ইত্যাদির কথা ভেবেছে ঠিকই কিন্তু কর্মীদের পরিবার পরিজনের যে অংশটি রয়েছে তা যে এতটা ব্যাপক সেটা আন্দাজ করা ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি। বাস্তবে সংক্রমনের ব্যাপকতা এতটাই বেড়ে চলেছে যে সেটা সামলে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রেলের কাছে। সমস্যাটা তখনও ঠিক মালুম হয়নি যখন আর.পি.এফ বাহিনী আক্রান্ত হয়েছে। তাঁরা মূলত ব্যারাকে ছিলেন ফলে সংক্রমন তাঁদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
যেই তা সাধারন রেল কর্মীদের মধ্যে ছড়ালো তখন তা শুধুই কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ছড়ালো তাঁদের পরিবার পরিজনদের মধ্যেও ফলে আইসোলেশন, ফিভার ওয়ার্ড উপচে পড়ছে। হিসাব বলছে ১০জন কর্মী আক্রান্ত হলে পরিবার পরিজন সহ আক্রান্ত পৌঁছে যাচ্ছে ৩০ জনে। যেমন নয়া খুলিতে ১জন কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন এখন অবধি পরিবার পরিজন আক্রান্ত হয়েছেন ৫জন।
শুক্রবার রাতে রেলের চারজন আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানা গেছে। এদের মধ্যে ২জন অপারেটিং স্টাফ অর্থাৎ সরাসরি রেল কর্মী। বাকি ২জন ১৮নম্বর ওয়ার্ড হরিজন পল্লী এলাকার যাঁদের পরিবারের সদস্য রেলের কর্মী আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রেল এলাকায় ৫জন আক্রান্ত হয়েছিলেন যার মধ্যে ২জন রেল কর্মী আর ৩জন কর্মীর পরিবার। অর্থাৎ গত ৪৮ঘন্টায় যে ৯জন আক্রান্ত হলেন তাঁর মধ্যে ৪জন কর্মী আর ৫জন পরিবার পরিজন। বিপদটা এখানেই যে শুধু ডিআরএম অফিসে এখনও অবধি ১ডজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবার পরিজন আক্রান্ত দু’ ডজনের কাছাকছি। এই পরিস্থিতিতে রেলের ওই হাসপাতলে ১৫টি শয্যার আইসোলেশন কী কাজে লাগবে? অন্য দিকে পরিবার পরিজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরছে।
শুক্রবার ওই চারজনের সাথে কমলা কেবিন এলাকার এক মহিলার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে খড়গপুর শহরে মোট আক্রান্ত ১৩৭ জনে পৌছালো। এদিকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল সংক্রমনের ফলে মোট ৩৪জন কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে। হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে থেকে ১৪জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে।