নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় খড়গপুর শহরে এখনও অবধি ১১৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল। এদিনও যথারীতি রেলসূত্রেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হয়েছে। এদিন খড়গপুর শহরে যে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৪ জনেরই রেল যোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগেই রেলের কমার্শিয়াল বিভাগের একজন কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছিল। তারপরেই তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের নমুনা নেওয়া হয়েছিল, মঙ্গলবার দুজনেরই পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে রেল হাসপাতালের একজন অফিস সুপারভাইজারের এদিন পজিটিভ এসেছে।
অন্যদিকে রেলের এক কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন বারোবেটিয়া এলাকায়। কিছুদিন আগেই এই কর্মচারীর স্ত্রী আক্রান্ত হয়েছিলেন। উলুবেড়িয়াতে কর্মরত এই কর্মচারীর প্রথম দিকে কিছুটা উপসর্গ ছিল। পরে সেই উপসর্গ চলেও যায়। কিন্ত ওঁর স্ত্রীর উপসর্গ দেখা দেয়। কয়েকদিন আগেই করোনা পরীক্ষায় স্ত্রীর পজিটিভ ধরা পড়লে স্বামীর নমুনা নেওয়া হয়, মঙ্গলবার তাঁর পজিটিভ এসেছে।
রেল সূত্রের বাইরে মঙ্গলবার যে দুটি পজিটিভ মামলা মিলেছে সে দুটি ইন্দা এলাকার। ইন্দা ঠাকুরচক এলাকার একজন পজিটিভ মিলেছে। কিছুদিন আগেই এলাহবাদ থেকে এসেছিলেন ওই যুবক। পাড়ার লোকেরা তাকে করোনা টেস্ট করতে বলে। মঙ্গলবার বছর ৩৪য়ের ওই যুবকের পজিটিভ এসেছে।
ইন্দা এলাকার অন্য পজিটিভ মামলাটি একটু উদ্বেগের। আক্রান্ত ৫০ বছরের মহিলা একজন গৃহ পরিচারিকা। এই এলাকায় একটি পরিবারের এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতার আর.এন. টেগোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার ফলাফল আসলেই চিকিৎসা শুরু হবে এবং ফলাফল আসতে দেরি হবে এই পর্যায়ে ওই বৃদ্ধকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে বাড়ির লোক। এরপরই আর.এন.টেগোর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেয় বৃদ্ধ পজিটিজ। কয়েকদিন আগেই সেই বৃদ্ধকে শালবনী কোভিড হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়।
এরপরই বাড়ির প্রত্যেকের এমনকি পরিচারিকারও নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। পরিবারের সমস্ত সদস্যেরই নেগেটিভ
আসলেও ওই পরিচারিকারই পজিটিভ আসে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে বাড়ির পরিচারিকার সংস্পর্ষে আক্রান্ত হয়েছেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু প্রশ্ন হল বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আক্রান্ত না হয়ে বৃদ্ধ আক্রান্ত হলেন কেন? আধিকারিকদের বক্তব্য করোনা আক্রান্তের সংস্পর্ষে এসে আক্রান্ত হওয়াটা নির্ভর করে অনেকগুলি শর্তের ওপর। হতে পারে ওই পরিচারিকা মৃদু সংক্রমন বহন করেছেন কিন্তু বৃদ্ধর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই দুর্বল ছিল যে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। খড়গপুর শহরের বাইরে এদিন একটি পজিটিভ মামলা পাওয়া গেছে এবং সেটি হল গোকুলপুর স্টেশন সংলগ্ন শ্যামরাইপুরে।