ওয়েব ডেস্ক : প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ কমছে না জ্বর ও শ্বাসকষ্ট। গত ২১ জুলাই থেকেই তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিকভাবে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে আপাতত কিছুই বলা সম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সোমেন মিত্র-র অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি বর্তমানে তাঁর কিডনিও কাজ করছে না। সেই সাথে কমে গিয়েছে তাঁর হৃদস্পন্দনের মাত্রাও। একই সাথে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও যথেষ্ট কম। গত ২১ শে জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সোমেন মিত্র-র শরীরে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল। ফলে হাসপাতালের প্রোটোকল অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তবে প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও তাঁর শরীরে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ফলে ফের করোনার দ্বিতীয় পরীক্ষা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সোমেন মিত্র নেফ্রোলজিস্ট প্রতীম সেনগুপ্ত, কার্ডিওলজিস্ট এস কে বিশ্বাস এবং অরিন্দম মৈত্রের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। যেহেতু তাঁর একাধিক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, সেকারণে তিনি আপাতত আইসিইউতেই রয়েছেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কিছুই বলা সম্ভব নয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ অন্তত ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা বোঝা যাবে৷
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা সহ একাধিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। প্রতিবার তিনি অসুস্থ হলে সাধারণত দিল্লি এইমসে চিকিৎসা করানো। কিন্তু গত ২১ শে জুলাই হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবিষয়ে সোমেনবাবুর ছেলে রোহিত মিত্র বলেন, “হাসপাতালে ভরতি করানোর সময় বাবার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।”
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়৷ আসলে বেশ কিছুদিন নিয়মমতো শরীরচর্চা না হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। তাছাড়া খাওয়াদাওয়ার অনিয়মও রয়েছে। তবে সকলের প্রিয় সোমেন মিত্র-র অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিকমহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।