ওয়েব ডেস্ক : রাজ্য সরকারের তরফে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলা হলেও রাজ্যে যে হারে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ বাড়ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে চলছে লকডাউন। রবিবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার রাতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ফের কনটেনমেন্ট জোন ভিত্তিক লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ জুলাই অবধি করা হল। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে জেলাশাসকদের পরিস্থিতি বুঝে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সরকারের তরফে জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী শহর ভিত্তিক বা জোন ভিত্তিক পাঁচ-সাত দিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে। এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে বিভিন্ন কনটেনমেন্ট ও বাফার জোনগুলিতে লকডাউন চলছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কন্টেনমেন্ট জোন হওয়া সত্ত্বেও মানুষ নিয়মের তোয়াক্কা করেই বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে।। ফলে এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে সেখানে স্থানীয় স্তরে অনেক পুরসভা লকডাউন করে রাখছে। অনেক জায়গায় আবার দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অটো-টোটো ইউনিয়ন, বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ী কমিটির তরফ থেকেও বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত পরিষেবা৷ সংক্রমণ এড়াতে কলকাতাতেও অনেক বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২,২৭৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২, ৪৭৮। করোনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কলকাতাতেই মারণ ভাইরাসে মৃত ১৫ জন। ৯ জনের মৃত্যু উত্তর চব্বিশ পরগনায়। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১,১১২ জন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১,৩৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন মোট ২৪,৮৮৩। রাজ্যে সুস্থতার হার ৫৮.৫৬%। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬,৪৯২ জন। এখনও পর্যন্ত করোনার মোট ৬,৮৯,৮১৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৩,৪৪৭টি নতুন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।