ওয়েব ডেস্ক : বিজেপি বুথ সভাপতির বোনকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে রবিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল চোপড়া। ঘটনায় শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। তবে সেই ধর্ষণের অভিযোগে রীতিমতো জল ঢেলে দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়ায় কিশোরীর মৃত্যু হলেও তাঁর দেহে কোনোরকম আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট একেবারেই মানতে নারাজ কিশোরীর পরিবার। এদিকে গোটা ঘটনার জানার পর সোমবারই মৃতা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোরে বাড়ির পাশেই শৌচালয়ে গিয়েছিল বিজেপি বুথ সভাপতির বোন। অভিযোগ, ফেরার পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করে। এরপর বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে সোনারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপড়াগজের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে। অভিযোগ সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতিরা৷ এখানেই থেমে থাকেনি তারা৷ এরপর বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয়। এরপর ওই ফাঁকা জায়গায় অসুস্থ কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। এরপরই শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার বোনকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সে অনুযায়ী কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে মিলতেই দানা বেঁধেছে রহস্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতা কিশোরীর শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে তবে কিভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আত্মহত্যার ঘটনা উড়িয়ে দিল? তবে কি কিশোরীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পিছনেও হাত রয়েছে শাসকদলের। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। তাদের দাবি, পুনরায় দেহটির ময়নাতদন্ত না করা হলে হাসপাতাল থেকে দেহ নেবে না তারা। তবে, ফের ময়নাতদন্তের দাবি মানা সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিকে রবিবারের ঘটনার পর দীর্ঘ কয়েকঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।