ভবানী গিরি: বর্ষার সাথে সাথে শুরু হয়েছে আমন চাষের প্রস্তুতি। কোথাও বীজতলা থেকে চারা সংগ্ৰহ করা হচ্ছে তো কোথাও সেই চারা রোপন করার কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই কাজ করতে গিয়েই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার শালবনী এবং গোপীবল্লভপুর থানা এলাকায় চাষের কাজ করার সময় বজ্রাহত হয়ে মৃত্যু হল ২ মহিলার। রবিবারের এই দুটি পৃথক ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
মর্মান্তিক ঘটনা দুটি ঘটেছে দুপুর বেলায় যখন মৃত ও আহতরা নিজের নিজের এলাকায় আমন চাষের জন্য কৃষি জমিতে ধানের চারা রোপনের জন্য মাঠের মধ্যে ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে যাদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ঘটনাটি ঘটেছে জাড়া গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার মুগারডির মাঠে যেখানে কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন জনা দশেক মহিলা। প্রথম দফার কাজ শেষ করে কয়েকজন দুপুরের খাবার খেতে চলে গেছিলেন কয়েকজন। পাঁচ জন মহিলা তখনও জমিতে ধানের চারা সংগ্ৰহ করছিলেন ৷ সেই সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আরম্ভ হয় সাথে বজ্রপাত। সেই সময় হঠাৎই বজ্রপাত হয় ঘটনাস্থলে। ভেজা জমিতেই লুটিয়ে পড়েন ৫২ বছরের জবা কিস্কু সহ বাকিরা। বিষয়টি দেখার পরেই ছুটে আসেন মাঠের অন্য জায়গায় কর্মরত কৃষি শ্রমিকরা।
গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা জবাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। বাকি চারজন মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দ্বিতীয় মর্মান্তিক ঘটনার স্বাক্ষী ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর থানা এলাকা। ওই থানার সাতমা গ্রামপঞ্চায়েতের পায়রাকুলি ও সংড়ো গ্রামে রবিবারই বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সংড়ো গ্রামে ৩ জন চাষের জমিতে ধান লাগানোর কাজ করছিলেন। অপরদিকে পাশের গ্রাম পায়রাকুলিতে ৪ জন জমিতে চাষের কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই বাজ পড়ে ৭ জন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পায়রাকুলি গ্রামের ৪ জন মহিলা ও সংড়ো গ্রামের ৩ জন মহিলা নিয়ে মোট ৭ জন মহিলাকে
গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা রুবি নায়েক নামে এক ৪৫ বছরের মহিলাকে মৃত বলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি ৬ জন মহিলার চিকিৎসা চলছে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দুটি ঘটনাতে স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।