✍️কলমে: দুর্গাদাস মিদ্যা
(দ্বিতীয় পর্ব)
এটাও একটা যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণা মানব মনকে কুরে কুরে খায়। এর যে তাড়না, সেই তাড়না থেকে বের হতে চায়। উৎসারিত আলোক মালার মতো নির্গত হতে চায়। তার ফলেই এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই বাংলা সাহিত্যের প্রাঙ্গণে এখন দুটি ধারা খুব স্পষ্ট। একটি বাণিজ্যিক সাহিত্যের ধারা, আর দ্বিতীয়টি লিটল ম্যাগাজিনের সাহিত্যের ধারা। একটি পুষ্ট হয় ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আর একটি ধারা চলতে থাকে ঝর্ণার ধারার মতো মৃদু ছন্দের তাল, লয়ে।
নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন একটি কৃত্রিম আর অপরটির
মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সত্তার প্রকাশ! ব্যাপারটা ঠিক তাই একটি আদেশ বা নির্দেশ মূলক আরেকটি স্বতঃস্ফূর্ত। এই স্বতঃস্ফূর্ত ধারাকে ধারণ করতে পারে লিটিল ম্যাগাজিন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় লিটিল ম্যাগাজিন কী– What is little magazine?
সেই সলতে পাকানোর কথায় আসার আগে একটা বড় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেওয়া ভালো বলে মনে হয় ।
প্রশ্নটা হলো এত লিটিল ম্যাগাজিন কেন । ঠিক যেমন আরেকটি প্রশ্ন পিঠোপিঠি উঠে আসে এত কবি কেন? কেউ কখনো প্রশ্ন তোলে না এতো গল্পকার কেন ?এত প্রাবন্ধিক কেন? যারা প্রশ্ন করেন তারা বোধহয় ভুলে যান যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তো আর থেমে নেই। মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এ কথা তো আর অস্বীকার করা যাবে না ।
তাহলে মনুষ্যৌচিত ক্রিয়াকর্মও তো বৃদ্ধি পাবে স্বাভাবিকভাবেই। আর সেই মনুষ্যৌচিত কাজের মধ্যে কি পড়ে না সাহিত্য সৃষ্টির তাগিদ?
আর সেই তাগিদেই বেশ কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছেন এই সাহিত্য সৃষ্টিকর্মের কাজে । কেউ কবিতা লিখছেন কেউ গল্প লিখছেন কেউ লিখছেন উপন্যাস অথবা প্রবন্ধ। আর এই সৃষ্টিকর্ম গুলোকে উৎসুক পাঠক সমাজের কাছে পরিবেশনের দায়িত্ব তো কাউকে না কাউকে
নিতেই হয়। সেই দায়িত্ব পালন করে লিটিল ম্যাগাজিন তাই এত লিটিল ম্যাগাজিন তাই এত সম্পাদক তাই এত লেখক-লেখিকা এত এত কবি এত গল্পকার এত প্রাবন্ধিক। আশা করি বোঝা গেল ব্যাপারটা । আর একটা প্রশ্ন যদি এত এত কবি প্রশ্ন যদি এত এত কবি এত গল্পকার ও প্রাবন্ধিক অর্থাৎ লেখক-লেখিকা সংখ্যা প্রাধান্য পায় তাতে ক্ষতি কার ?এতে তো সমাজের ভালো হবারই কথা।
এতগুলো মানুষ নিজেদের মতো করে তাদের মনের বাগানে শত পুষ্পের বিকাশ ঘটিয়ে চলেছেন। তাতে অন্যায়টা কোথায়? এরা সকলে আর যাই হোক সমাজ বিরোধী কোন কর্মে লিপ্ত তো নয়।
–চলবে।