নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ির কয়েকটি জায়গা থেকে গ্রেফতার একাধিক দুষ্কৃতকারী। একদিকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩ দুষ্কৃতি। অপরদিকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মাটিগাড়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশের অভিযানে আসে দ্বিতীয় বড় সাফল্য। প্রায় ৪ লক্ষ টাকা এবং ৯৫০গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ আটক হয় দুজন দুষ্কৃতি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে শান্তি পাড়া ব্যারাক কলোনি এলাকায় বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতি ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ অভিযান চালায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী।পুলিশের গাড়ি দেখে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তিন দুষ্কৃতি। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র এবং রড।
নিউ জলপাইগুড়ি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রূপ সরকার; বাড়ী দেশবন্ধু পাড়া, অপর অভিযুক্তের নাম চিরঞ্জিত মন্ডল, বাড়ী ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাপ্পু বর্মনের বাড়ী কাশ্মীর কলোনি এলাকায়। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে এরা শান্তিপাড়া এলাকাতে ডাকাতি উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের কাছে পৌঁছতে চাইছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শুক্রবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।
অপরদিকে, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মাটিগাড়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশের অভিযানে খাপড়াইল মোড় থেকে গ্রেপ্তার হয় দুজন। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা এবং ৯৫০গ্রাম ব্রাউন সুগার। মাটিগাড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা খাপরাইল মোড়ে বাস থেকে নামছিল, ঠিক সেই সময় তাদের পাকড়াও করে পুলিশ।তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃতরা মালদা থেকে এই মাদক শিলিগুড়িতে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল। ধৃতদের নাম ইসমাইল হক; বয়স ৩৮, বাড়ী কালিয়াচক মালদা। অপর ধৃত মোহাম্মদ কৌশার; বয়স ২২, বাড়ী বিশ্বাস কলোনি, মাটিগাড়া।
মাটিগাড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তুলে পুনরায় সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। এই ব্রাউন সুগার ধৃতরা কোথা থেকে এনেছিল এবং কোথায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল তা জানতে চাইছে পুলিশ।
শিলিগুড়িতে ক্রমশই বেড়ে চলেছে অপরাধীদের দৌরাত্ম, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ খোদ পুলিশ কমিশনার। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং জানান, শহরে এই মুহুর্তে ২০০-২৫০ ক্যামেরা লাগানো আছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।আমাদের প্রয়োজন কমবেশী ২০০০-২৫০০ ক্যামেরা। এই বিষয়ে তিনি শহরের নামজাদা ব্যক্তিদের সাহায্যও চেয়েছে। এই পাচারকাণ্ড ও ডাকাতি ছাড়াও সম্প্রতি শহরে একের পর এক ব্যাঙ্ক লুঠের চেষ্টা হয়, যার সমাধান করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুজন। তাদের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সাথেও যুক্ত।তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা।বহুবছর ধরে তিনি সেনাবাহিনী থেকে বিতাড়িত। এদের সাথে জড়িত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।