ওয়েব ডেস্ক : বেশ কিছুদিন যাবৎ বেআইনী ভাবে সোনার বিস্কুট পাচারের খবর মিললেও হাতেনাতে ধরতে পারছিল না। পুলিশ। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সাথে পুলিশি অভিযান চালিয়ে ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা থানার পুলিশ। ঘটনার পর রবিবার সকালেই মালবাজার এসডিপিও অফিসে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাডিশনাল এসপি রুরাল দেন্দুপ শেরপা জানান, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মোট ৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পিছনে আরও বড়ো মাথা রয়ে কিনা তা জানতে ইতিমধ্যেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অ্যাডিশনাল এসপি রুরাল দেন্দুপ শেরপা বলেন, শনিবার গোপন সূত্রে সোনা পাচারের খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী এদিন রাতে নাগরাকাটা ব্লকের বাতাবাড়ি-মূর্তি রোড এলাকায় অভিযান চালনো হয়। সেসময় সন্দেহজনক একটি একটি গাড়ি পাকড়াও করতেই গাড়ি থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। সেসময় গাড়ির ভেতরে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই তিন ব্যক্তিই এই সোনার বিস্কুট পাচার করার চেষ্টা করছিল।
জানা গিয়েছে, সোনার বিস্কুট পাচারকারী ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নাগরাকাটা পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনার বিস্কুটগুলি অসম থেকে আনা হচ্ছিল। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ধৃত তিন অভিযুক্ত কেউই এরাজ্যের বাসিন্দা নয়। ধৃতদের মধ্যে কৃষ্ণা মজুমদার ও মনতোষ বিশ্বাস অসমের বাসিন্দা এবং সন্তোষ গজাপে আদতে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। ধৃতদের গ্রেফতারের পর ইতিমধ্যেই তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই পাচারকারীদের পিছনে বড়ো কোনো মাথা কিংবা চক্র রয়েছে। তাদের খোঁজে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।