ওয়েব ডেস্ক : ধারে মদ না দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে মদের দোকানের চার কর্মচারীকে পিটিয়ে খুন করলেন এক দুষ্কৃতি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায়। অভিযুক্তের নাম সাধু হেমব্রম। তিনি পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শিবপুর এলাকার মাঝিপাড়ার বাসিন্দা। ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে শিবপুরের ভুঁইয়াপাড়ায় এক মদের দোকানে আসেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় ওই ৪ কর্মী দোকানের বাইরেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ সেসময় তাদের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত সাধু হেমব্রম। লাঠি দিয়ে প্রত্যেকের মাথায় সজোরে আঘাত করে একে একে ৪ জনকেই পিটিয়ে খুন করে সে। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্ত সাধু হেমব্রম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগে ধারে মদ নিতে এসেছিলেন সাধু হেমব্রম। কিন্তু দোকানের কর্মচারীরা তাকে ধারে মদ দিতে রাজি না হওয়ায় মদ খাওয়া নিয়ে দোকানের কর্মচারীদের সাথে বচসা বাধে। পরিস্থিতি এতটাই চরমে উঠে যায় যে এর জেরে গ্রেফতার হয় সাধু। এরপর দিন তিনেক আগে সে জামিনে মুক্ত হন। এদিকে দোকানের কর্মচারীদের ওপর প্রতিশোধ নিতে বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা মদের দোকানের কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয় সাধু হেমব্রম। ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা কর্মচারীদের বাঁশ নিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। একে একে ৪ জনকেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় মৃত ৪ জন ব্যক্তি কালিয়া ভুঁইয়া, প্রশান্ত সাহা ও সুবোধ বাউড়ি সহ আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম ৩ জনকে আগেই খুন করলেও পুলিশ আসার পর পুলিশের সামনেই ৪ নং ব্যক্তিকে মাথায় সজোরে আঘাত করে খুন করে সাধু হেমব্রম। কিন্তু পুলিশকর্মীরা কোনোভাবেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেননি। পুলিশের সামনেই নির্মমভাবে ওই কর্মচারীকে পিটিয়ে খুন করে সাধু, আর পুলিশ একেবারে নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তবে এই প্রথম নয়, জানা গিয়েছে, এর আগেও অভিযুক্ত সাধু হেমব্রমের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল। এমনকি সে এতটাই উগ্র মেজাজ ও হিংসাত্মক মানসিকতার যে তার এই অভব্য আচরণের জন্য তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন আত্মীয়রা।