নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর সাংসদ দিলীপ ঘোষের একটি ঘরোয়া সভার পর সভাস্থল থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দুরের একটি চায়ের দোকান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিন দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কোনও অপরাধ সংগঠিত করার জন্যই সমবেত হয়েছিল দুষ্কৃতিদলটি। পুলিশ আপাতভাবে ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ খুঁজে পায়নি।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে রাধামোহনপুর রেলস্টেশনের কিছুটা দূরে পুরানো নতুন মন্ডলসভাপতি ও কিছু দলীয় নেতাদের নিয়ে একটি গেস্ট হাউসে সভা করেন দিলীপ। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ওই সভা হয়। বিকাল ৫টা নাগাদ ওই গেস্ট হাউস থেকে কিছুটা দুরে স্টেশনের উত্তর পাশে একটি চায়ের দোকানে হানা দেয় সাদা পোশাকের পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে যাদের কাছ থেকে একটি দেশি ইম্প্রভাইজ পিস্তল পাওয়া যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর তৃনমূল জেলাসভাপতি অজিত মাইতির অভিযোগ, ‘গুন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ কারন তিনি গুন্ডা ছাড়া কোথাও যেতে ভরসা পাননা। যত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে আসছে তত দিলীপবাবুরা ভয় পাচ্ছেন আর চমকে দিতে এই সব করছেন।’ অজিত মাইতির দাবি, গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার ঢল নেমেছে তাই পিংলা, চড়কাবনী সহ কয়েক জায়গাতে তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলাও করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি নিজেই তো গুন্ডা। বিরোধীদের ওপর গুন্ডা লেলিয়ে দেন, পার্টি অফিস দখল করান। জেলার সমস্ত গুন্ডাই তো ওনার নির্দেশে ওঠে বসে।’
পুলিশ অবশ্য বলছে, একটি সূত্র মারফৎ ওদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়েই পাকড়াও করা হয় তিনজনকে। সম্ভবত ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল দলটি। হয়ত আরও কারো কারো আসার ছিল। তিনজনই বেলদা থেকে এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় কিছু দুষ্কৃতিদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জাতীয় সড়ক, খড়গপুর ও তার সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি অপরাধ মূলক কাজ হয়েছে। এই দলটির সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ আছে কিনা দেখা হচ্ছে।