Homeএখন খবরসার্কাসের মতই আকাশে উড়ে মাটিতে আছড়ে পড়ল তিন যুবক! চন্দ্রকোনার দুর্ঘটনায় গুঁড়িয়ে...

সার্কাসের মতই আকাশে উড়ে মাটিতে আছড়ে পড়ল তিন যুবক! চন্দ্রকোনার দুর্ঘটনায় গুঁড়িয়ে গেল হেলমেট হীন দুই মাথা, আশঙ্কায় ১

নিজস্ব সংবাদদাতা: আবারও সেই মরিয়া বাইক চালানো আবারও সেই হেলমেট বিহীন মরন সফর কেড়ে নিল ২টি তরতাজা দুটি প্রান, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে আরও এক যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার ডুকি নামক এলাকায়, চন্দ্রকোনা রোড থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দক্ষিনে। জায়গাটি গড়বেতার চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়ির অন্তর্গত। সেই ফাঁড়ি সূত্রেই জানা গেছে মৃতরা হলেন ভোলানাথ টুডু (১৯) ও সঞ্জয় হাঁসাদা(২৫)। এঁদের বাড়ি গড়বেতা থানারই বুড়ামারা গ্রামে যা ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত ২ যুবক ছাড়াও আরও এক যুবক মিলিয়ে মোট তিনজন যুবক একটি বাইকে চন্দ্রকোনা রোডের দিক থেকে দক্ষিনে নেমে আসছিল বালেশ্বর-রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঠিক ওই একই সময়ে মেদিনীপুর থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি বোলেরো গাড়ি। গাড়িতে বাঁকুড়া জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মী মিলিয়ে চারজন ছিলেন। উদ্দাম গতিতে আসা বাইকটি সরাসরি ধাক্কা মারে বিপরীতমুখি বোলেরোতে। ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে নিয়ন্ত্রন রাখতে না পেরে বোলেরোটিও উল্টে যায়। ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় ২ যুবকের।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোলেরোতে থাকা এক সরকারি কর্মী পূর্ন চন্দ্র সিদ্ধান্ত জানান, “রবিবার হওয়া স্বত্ত্বেও অফিসের জরুরি কাজে কিছু ফাইল নিয়ে আমরা মেদিনীপুর গিয়েছিলাম। কাজ সেরে ফিরছিলাম বিষ্ণুপুর অফিসে। সেখান থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার কথা। বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ এই ঘটনাস্থলে উল্টো দিক থেকে আসা এই তিন যুবক ঝড়ের গতিতে এসে সরাসরি আমাদের মুখোমুখি ধাক্কা মারে। যার পরিণতিতে আমাদের এত বড় গাড়ি অবধি উল্টে যায়।”

স্থানীয় বাসিন্দারা যারা উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছিল প্রথম জানিয়েছেন, ” মনে হচ্ছিল যেন সার্কাস দেখছি। একটা প্রচণ্ড শব্দ হতেই ফিরে তাকিয়ে দেখি যেন আকাশ থেকে নিচে পড়ে যাচ্ছে ২টি ছেলে। অনেকটা সুইমিংপুলে যেমন লোকে ঝাঁপ দেয়।” দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই সাথে সাথে ছুটে আসে পুলিশও। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় দ্বারিগেরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে বেশ কিছু সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ মৃতদেহ ও গাড়িগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দুটি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। আশঙ্কিত যুবকের চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ আফসোস করে জানিয়েছে, যদিও দুর্ঘটনার অভিঘাত অত্যন্ত বেশি ছিল তবুও যদি যুবকরা হেলমেট পরে থাকত তাহলে হয়ত হাত পা ভেঙে গেলেও যুবকরা বেঁচে যেতে পারত। বারবার বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পেছনে হেলমেট না পরাটাই বড় কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত
বাইকটিকে মূল রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা দুরে ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular