নিউজ ডেস্ক : শিলিগুড়ি, ২০ ফেব্রুয়ারি : শিলিগুড়িকে চিকেন নেক বলা হয়। কারণ স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জায়গার করিডর হিসাবে শিলিগুড়িই ভরসা। তবে এই করিডরকে কেন্দ্র করে চলছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ ও পাচারচক্র। মায়ানমার থেকে দিল্লিতে পাচারের আগে শনিবার ২৪ কেজি সোনা সহ গ্রেপ্তার হল দুই ব্যক্তি।
শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড থেকে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের শিলিগুড়ি শাখার আধিকারিকরা। ধৃতদের নাম অক্ষয় সাহা সাহাজি শ্রীখণ্ডে ও রুসিকেশ সারজেরাও গৌরব। দুজনের বাড়ী মহারাষ্ট্রে। আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে মোট ১৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে, যার এক একটির ওজন প্রায় ১৬৬ গ্রাম।
উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মূল্য ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। ডিআরআই সুত্রে জানা গিয়েছে, সোনার বিস্কুটগুলোকে মায়ানমার সীমান্ত হয়ে মণিপুরের ওপর দিয়ে শিলিগুড়ির দিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল এবং এরপরেই সেগুলো দিল্লীতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামেন গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা।
ধৃত দুই ব্যক্তি কোচবিহার থেকে বাসে করে শিলিগুড়িতে আসে। শুক্রবার বিকেলে সেই বাস বর্ধমান রোডে পৌঁছালে তাদের আটক করা হয়। তল্লাশি করতেই বেরিয়ে যায় গোপন তথ্য! তাদের পোশাকের একটি গোপন পকেট থেকে ওই সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার হয়। ধৃত দুজনকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। ভোটের মুখে এমন দুঃসাহসিক পাচারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগেও শিলিগুড়িতে বেশ কয়েকবার সোনা পাচারকারী ধরা পড়েছিল। আর শুধু সোনাই নয়, নেপাল, বিহার সহ বিভিন্ন সীমান্ত এরিয়া কাছাকাছি হওয়ায় মাদক দ্রব্য থেকে শুরু করে বন্য প্রাণ ও বন্য জন্তুর শরীরের বিভিন্ন অংশ খুব সহজেই পাচার করার ছক কষে ফেলে পাচারকারীরা।