নিজস্ব সংবাদদাতা: ১০০দিনের কাজের টাকা কিভাবে লুট হচ্ছে তারই এক খণ্ড চিত্র ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার একটি গ্রামে। সবং পঞ্চায়েত সমিতির চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িকা গ্রাম সংসদে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজারের কিছু বেশি টাকা ঢুকেছে ৯৬দিন কাজ করার সুবাদে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে ওই ব্যক্তি বা তাঁর স্ত্রী কেউই ১০০দিনের কাজই করেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অপূর্ণ সানা নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ” আমরা যেহেতু কাজ করিনি তাই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিনা খোঁজ নেইনি। স্থানীয় তৃনমূল নেতারাই আমাকে জানান যে, আমাদের অ্যাকাউন্টে ১০০দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে এবং সেই টাকা তাদের কে তুলে দিতে হবে। তারা ব্যাঙ্কের উইথড্রল শ্লিপ এনে আমাকে সই করে দিতে বলে। কিন্তু আমি জানিয়ে দেই সরকারের টাকা আমার অ্যাকাউন্টে যদি ঢুকেই থাকে তবে আমি তা সরকারকে ফেরৎ দেব। এরপর থেকেই আমাকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খবর নিয়ে জানা গেছে শুধুই অপূর্ণ সানা নয় খড়িকা সংসদের অন্তর্গত ঘুসিঙ্গা ও খড়িকা গ্রামের আরও ৬জনের নামে টাকা ঢুকেছে এবং একই ভাবে সেই টাকা ভয় দেখিয়ে উইথড্রল স্লিপে সই করিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও জানা গেছে শুধু খড়িকা সংসদ নয় চাউলকুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদ এলাকাতেও এই ভাবে কাজ না করেই কাজ হয়ে গেছে বলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবারই সবং থানায় আভিযোগ দায়ের করে সানা জানিয়েছেন, স্থানীয় দুই তৃনমূল নেতা তাপস নায়েক এবং সেখ আমজেদ মিছিল করে তাঁর বাড়ির সামনে এসে রীতিমত হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছে। হুমকি চলছে ফোনেও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও কাজ না করেই কাজের টাকা কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেতে পারেনা যদি না এই জালিয়াতির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও জব নির্মাণ সহায়ক যুক্ত থাকেন। কি করে এই টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় এটা জানতে চেয়ে চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উষা রানী দাস গৌরাকে ফোন করা হলে তাঁর হয়ে ফোনটি ধরেন একজন পুরুষ এবং পরে ফোন করা হচ্ছে বলে ফোনটি কেটে দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর বারংবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। এর থেকে পরিষ্কার যে বিষয়টির সদুত্তর নেই প্রধানের কাছে। যে যে প্রকল্প বাবদ এই টাকা কাজ না করে বা সামান্য কাজ করে পুরো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে সেই প্রকল্পের নম্বর যোগাড় করা হয়েছে এবং সেই প্রকল্পের বিস্তারিত কি অবস্থা তা নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে ‘ দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ য়ের পক্ষ থেকে। শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে যে দুজনের নামে থানায় আভিযোগ করা হয়েছে তারমধ্যে তাপস নায়েকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এরকম কোনও কাজ করিনি। বিষয়টি নিয়ে যা বলার প্রধানই বলবেন।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সবং বিজেপির মণ্ডল কর্মকতা শান্তনু সাহু জানান, ”এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়, গোটা সবং জুড়েই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট চলছে। কোনও প্রকল্পের সাইনবোর্ড দেখতে পাওয়া যায়না। রাতারাতি সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাজ হয়ে গেছে বলে তা খুলে নেওয়া হয়। এবং প্রকল্পের নামে টাকা তুলে নেওয়া হয়।” সাহুর আরও আভিযোগ এই ঘটনার পেছনে ব্যাঙ্ক গুলিও জড়িত না হলে একজনের উইথড্রল স্লিপ খতিয়ে না দেখে ব্যাঙ্ক টাকা দিয়ে দেয় কি ভাবে ?