Homeএখন খবরমোদির লক আউট ভেঙেই যোগীর রাম পুজো, অবাক সারা দেশ

মোদির লক আউট ভেঙেই যোগীর রাম পুজো, অবাক সারা দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে এক বিশেষ ঘোষণায় সারা দেশে কমপ্লিট লকডাউন ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাত জড়ো করে জনতার কাছে আবেদন করেছিলেন এই লকডাউন মেনে চলার। কিন্তু সেই লকডাউন চালুর ৪ঘন্টার মাথায় লকডাউন ভাঙলেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

বুধবার রীতিমত সাড়ম্বর আয়োজনে অযোধ্যায় রাম জন্মভূমিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল রামলালার মূর্তি এবং গোটা প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন খোদ মূখ্যমন্ত্রী। মনে রাখতে হবে লকডাউন ঘোষনার পর নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচী বাতিল করে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু যোগীর এই আচরন শুধুই তাঁর নয় গোটা বিজেপি দলটার সদিচ্ছাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল।
এদিন ভোর ৪টের সময় রামের মূর্তি স্থানান্তর করতে ছুটে গেলেন  খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।  রাম জন্মভূমিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল রামের মূর্তি। আপাতত ওই মূর্তি সরিয়ে ফাইবার দিয়ে তৈরি অস্থায়ী আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির না তৈরি হওয়া পর্যন্ত একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে রাখা থাকবে মূর্তি। এই অনুষ্ঠানটিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম পর্বের সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন যোগী।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে সেটা কতটা হবে, তা পরিস্কার নয়। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন অন্তত ২০ জন। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শহরের বহু সাধুদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থনা করছেন। অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রধানসহ উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অথচ লকডাউনের আওতায় রয়েছে সব ধর্মীয় স্থান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তালিকাতেও রয়েছে সেকথা।সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের নভেম্বরে রায় দিয়েছিল যে অযোধ্যাতে ওই বিতর্কিত জমি পুরোপুরি ভগবান রামের।ঠিক হয় বিতর্কিত জমিতে মন্দিরই হবে, তবে পাঁচ বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ রায়ে আরও জানায় যে উত্তরপ্রদেশের এই ‘পবিত্র’ শহরের একটি ‘বিশিষ্ট স্থান’ নতুন মসজিদের জন্যও বরাদ্দ করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই রাম মন্দির তৈরি হবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যাতে মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমির অবস্থান নির্ধারণ করে, যা ওই মন্দির-মসজিদ স্থান থেকে প্রায় ২৫ কিমি দুরে । উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, জমিটি জেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে লখনউ হাইওয়েতে অযোধ্যার ধনিপুর গ্রামে অবস্থিত। এখন প্রশ্ন উঠেছে একজন মূখ্যমন্ত্রী হয়ে যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে তবে সাধারন মানুষ লকডাউন ভাঙলে পুলিশের ডান্ডা বরাদ্দ হবে কেন ?

RELATED ARTICLES

Most Popular