নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘লকডাউন’ কার্যকরী করতে গিয়ে কোনও নিয়ম ভাঙা হয়নি বলেই দাবি করলেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। ২৮শে মার্চ আইআইটি খড়গপুরের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর (মিডিয়া)শ্রেয়সী ঘোষ ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’কে একটি ই-মেল মারফৎ জানিয়েছেন যে, কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনেই বলবৎ করছেন। এক্ষেত্রে ২৫শে মার্চ ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ প্রকাশিত ‘লকডাউন মানা হচ্ছেনা আইআইটিতে’ শীর্ষক খবরটি সঠিক নয়। আইআইটি কর্তৃপক্ষ এরই সাথে সাথে ক্যাম্পাসে লকডাউন মানতে গিয়ে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তার একটি বিবরন দিয়েছেন সঙ্গে পাঠিয়েছেন কিছু ছবিও।
উল্লেখ্য আইআইটি খড়গপুর হল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসককে পাঠানো একটি সংশয় পত্র পেশ করে জানিয়েছিল যে, ‘দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও আইআইটি লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গেলেও আইআইটি খড়গপুরের প্রায় ৫০০০ হাজার পড়ুয়া থেকে গেছে এবং এঁদের মেসগুলি চালু রয়েছে, এখানে সাপ্লায়ার ও অন্যান্য ব্যক্তিরা আসছে, আইআইটির পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের বাইরে বেরুচ্ছে এবং নিজেদের মধ্যে অবাধ মেলামেশা করছেন এতে ছাত্রাবাসের কর্মচারীরা আতংক বোধ করছেন। জেলা শাসককে তাঁরা আরও লিখেছেন যে কাজে যোগ দিতে এসে তাঁদের কর্মচারী পুলিশি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। জেলাশাসককে পাঠানো এই সংশয়পত্রের কিছু বিষয় নিয়েই ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ে খবরটি প্রকাশিত হয় কর্মচারীদের আভিযোগ আকারে।
আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই লকডাউন হওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর আবেদন যে, ‘যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন’ য়ের ফলেই কিছু পড়ুয়া যা সংখ্যায় প্রায় ৫হাজার আর বাড়ি ফিরতে পারেনি। যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষ ১৩ই মার্চ অনলাইন পাঠক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেন এবং সমস্ত প্র্যাকটিক্যাল ক্লাশ বন্ধ করে দেন আর লকডাউন ঘোষনা হয় তারও অনেক পরে। এই সময়ের মধ্যে ১৪হাজার পড়ুয়ার ৯হাজার বাড়ি ফিরে যায় কিন্তু ৫হাজার থেকে যায়।
আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে ঢোকার ও বেরুনোর পথে নিরপত্তারক্ষীরা পর্যাপ্ত নজরদারি করছেন, থার্মলস্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি নিষেধ মানা হচ্ছে। তাই ক্যাম্পাসে অবাধ প্রবেশ ও পড়ুয়ারা বাইরে যাচ্ছে এই ঘটনা সঠিক নয়। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি তাঁরা একটি মাত্র ঘটনার কথা জানেন যেখানে এক কর্মচারীকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল বাদ বাকি অন্য কোনও ঘটনা তাঁদের কাছে রিপোর্টিং হয়নি। আইআইটি কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করেছেন, একমাত্র জরুরি অবস্থা ছাড়া কর্মীদের কাজে আসাটা ঐচ্ছিক। তাঁরা না আসলেও নিয়ম মেনেই বেতন পাবেন। কর্তৃপক্ষ ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ কে বিষয়গুলি সংশোধন করার আহ্বান জানান।
‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ের পক্ষ থেকে জানানোর যে ১৩ই মার্চ আইআইটির অনলাইন পাঠক্রম চালুর বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত এবং ২২শে মার্চ ‘করোনা মোকাবিলায় জাতির পাশে আইআইটি খড়গপুর’ শীর্ষক দুটি খবর গুরুত্ব দিয়ে করা হয় এবং শেষোক্ত সংবাদটি একমাত্র বাংলায় দ্য খড়গপুর পোষ্টই প্রকাশ করে। এছাড়াও আইআইটির গবেষনামূলক কার্যক্রম, নতুন নতুন উদ্ভাবন ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ অত্যন্ত দ্রুততা ও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে থাকে যদিও এ সম্পর্কিত কোনও তথ্য আইআইটি কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রদান করেননা যা কিনা বৃহৎ সংবাদমাধ্যম গুলিকে নিয়ম করে সরবরাহ করা হয়। দ্বিতীয়ত কোনও খবরের সত্যতা যাচাই করতে গিয়েও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সহজলভ্য হয়না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থেকেই যায়। শুধুই খড়গপুর বা জেলা নয়, ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ের পাঠক কুল যা বর্তমানে অর্ধ কোটি ছাড়িয়ে। আমরা চেষ্টা করি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য যা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে আরও সহজ হয়।