ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গোটা দেশ ইতিমধ্যেই চিনা পন্য বয়কটের ডাক দিয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ, ভাঙা হচ্ছে চিনা ফোন, কম্পিউটার, আনইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে চিনা অ্যাপ। এই পরিস্থিতিতে ইলেকট্র্নিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে উপস্থিত কয়েকটি চিনা অ্যাপের ক্ষেত্রে বাধিনিষেধের নির্দেশের খবর শোনা গিয়েছিল। এই জাতীয় নানা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ ভাইরাল হয়েছিল৷ কিন্তু শনিবার এই দাবিকে একেবারেই নস্যাৎ করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই নির্দেশ ভুয়ো এবং গুগল বা অ্যাপলকে এ জাতীয় কোনও আদেশই দেওয়া হয়নি।
ভাইরাল হওয়া ভুয়ো মেসেজটিতে বলা হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গুগল এবং অ্যাপলের আঞ্চলিক এক্সিকিউটিভ ও প্রতিনিধিদের তাদের স্টোরে টিকটক, ভি মেট, ভিগো ভিডিও, লাইভমি, বিগো লাইভ, বিউটি প্লাস, ক্যাম স্ক্যানার, ক্লাব ফ্যাক্টরি, সিইন, রমউই, অ্যাপলক, মোবাইল লিজেন্ডস, ক্ল্যাস অফ কিংস, গেল অফ সুলতানস জাতীয় চিনা অ্যাপগুলি সক্রিয়তা বৃদ্ধি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, এই অ্যাপগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ, এর মাধ্যমে প্রাইভেসি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার এবিষয়ে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক এর এক আধিকারিক যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ খারিজ করে জানান, কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চিনা অ্যাপ সংক্রান্ত কেন্দ্রের যাবতীয় নির্দেশ সম্পূর্ণ ভুয়ো। চিনা অ্যাপ সংক্রান্ত কোনোরকম বিধিনিষেধ ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টারের তরফে দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ মিথে।
প্রসঙ্গত, একেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই দেশ জুড়ে চিনা সামগ্রী ও চিনা অ্যাপ বয়কট করতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। তার ওপর গত ১৬ জুন লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চিনা বিরোধী স্লোগান আরও জোড়ালো হয়েছে। এমনকি গোয়েন্দা বিভাগের তরফেও চিনা অ্যাপের ব্যবহারের ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর চিনা পণ্য বয়কটের ডাকে কেন্দ্রের তরফে সারা না দিলে করোনা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে দেশবাসীর আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।