নিউজ ডেস্ক: কাজ করতে করতে হঠাৎ করে খুব ক্লান্ত লাগছে? মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ছেন, অথচ কাজ সময়ে শেষ করতে হলে চাই চটজলদি এনার্জি। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বিটের রস। এক গ্লাস বিটের রস বানিয়ে পান করুন। ঝটপট চাঙা হয়ে যাবেন। তবেই শুধুই কি ক্লান্তি মেটাতে এই জুস পান করবেন! না এই জুসের রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। আর আপনি খুব সহজেই বিটের জুস তৈরি করতে পারবেন। সেকথায় পরে আসছি।
আগে জেনে নিন বিটের রসের অন্যান্য যে উপকারিতা রয়েছে সেগুলো কী –
বিটের রস হজম শক্তি বাড়ায়, সেই সঙ্গে বাড়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
বিটের রস পান করলে লিউকোমিয়ার (ক্যান্সারের) মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন মাত্রায় বেড়ে যায় বিটের রসে। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশুন্যতা দূর হয়।
বিটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড কোলেস্টেরল কমায় এবং এইচ ডি এল কোলেস্টেরল (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি করে।
বিটের রস রক্তে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিয়ে ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ইনসুলিনের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে ও ডায়াবেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত বিটের রস খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
এছাড়াও বিটের রস পান করলে শরীরে অক্সিজেন ও রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রতিটি অংশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। হার্ট ভালো রাখতে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম করতেও বিটের রসের ভূমিকা প্রচুর।
এবার জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন বিটের রস-
যা যা লাগবে,
বিট টুকরো করা- ২ কাপ
জল- ১ কাপ
লেবুর রস- ২ টেবিল চামচ
বিট নুন- ১ চিমটি
পুদিনা পাতা- কয়েকটি
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
এবার বিট ও গোলমরিচ বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর সেটি ছেঁকে একটি গ্লাসে নিয়ে গোলমরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে পান করুন স্বাস্থ্যকর বিটের জুস।