Homeঅন্যান্যলিপস্টিক ব্যবহারের সময় যেসকল কথা মনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন

লিপস্টিক ব্যবহারের সময় যেসকল কথা মনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন

অশ্লেষা চৌধুরী: অনুষ্ঠান বাড়ী, লিপস্টিক ছাড়া আমাদের মেয়েদের সাজগোজটাই যেন অসমাপ্ত থেকে যায়।‌ কারণ এই লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দেয়। তবে লিপস্টিক ব্যবহার করার যেমন সুফল আছে; তেমনই কিন্তু আছে এর কুফলও। যদি না বুঝে-শুনে, গুণগত বৈশিষ্ট্য না জেনে ব্যবহার করেন; তবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এজন্য লিপস্টিক ব্যবহারের খুঁটিনাটি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। জেনে নিন কি কি বিষয় খেয়াল রাখা এক্ষেত্রে অত্যন্ত আবশ্যক-

সবার আগে, কেনার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্র্র্যান্ডের লিপস্টিকের গুণগত মান সম্পর্কে জেনে নেবেন। কম দামি অনেক লিপস্টিকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে; যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

এরপর যা দেখবেন সেটি হল‌, আপনার ব্যবহৃত লিপস্টিকের মেয়াদ। মেয়াদহীন লিপস্টিক দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

ঠোঁটে বেশি গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগানোর পর একটি মোটা টিস্যু পেপার ঠোঁটের মাঝে রেখে একটু চেপে ধরুন। কিছুক্ষণ পরই দেখবেন গাঢ় ভাব আর নেই।

ওঠানোর পরেও যদি ঠোঁটে লিপস্টিকের গাঢ় রং থাকে; তবে তা মোছার জন্য হালকা গোলাপি বা পিচ রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। আর লিপস্টিকের রং খুব হালকা করতে চাইলে লিপস্টিকের উপর সামান্য ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন।

লিপগ্লস বা লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট লিপলাইনার দিয়ে আঁকিয়ে নিন। তাহলে দেখতেও সুন্দর দেখাবে, আবার দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিকও থাকবে।

লিপস্টিক ব্যবহারের পর কখনই রুমাল দিয়ে ঘষে মুছবেন না। এতে ঠোঁটের সূক্ষ্ম চামড়া উঠে যেতে পারে।

 

অনেকে নিজের অজান্তেই ঠোঁটে থাকা লিপস্টিক খেয়ে ফেলেন। এতে প্রসাধনীতে থাকা বিষাক্ত উপাদান চলে যায় পেটে, যার ফল হতে পারে মারাত্মক। ক্যাডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামসহ কয়েক ধরনের ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয় লিপস্টিক, যা শরীরের বিপাকক্রিয়া ও অম্লের সঙ্গে মিশে বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

 

অনেক সময় অসাবধানতায় লিপস্টিকের দাগ লেগে যায় কাপড়ে। সেই দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন শেভিং ক্রিম। কাপড়ের যে স্থানে দাগ লেগেছে, সেখানে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগিয়ে স্ক্রাব করলেই দাগ উঠে যাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular