ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক দেশেই করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য রোগী চিহ্নিত করতে করোনা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ চালু হয়েছে। তবে ভারতই সবার আগে অ্যাপটির ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে।
আগামী সোমবার থেকে দেশটিতে ‘আরগ্য সেতু’ অ্যাপটির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে অ্যাপটি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটি সঠিকভাবে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেইসব সমস্ত সরকারি কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত এই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৮ কোটি বার। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে হলে অন্তত ২০ কোটি স্মার্টফোনে অ্যাপটি ইন্সটলড থাকতে হবে। ব্লুটুথ ও জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে দেশটির ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শেষে অ্যাপটি জনসারধারণের উপর নজরদারি করতেও ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশংকা করছেন প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্টরা। দ্য ইন্টারনেট ফ্রিড নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, অ্যাপটি চেকী ধরনের অ্যালগরিদম ব্যবহৃত হচ্ছে সে বিষয়ও কোনো স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ কী?
আশেপাশে থাকা কোনো ব্যক্তি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কিনা, আক্রান্ত ব্যক্তি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন এবং কারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের মাধ্যমে জানা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যবহারকারী অ্যাপটির মাধ্যমে অ্যালার্ট পাঠিয়ে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে সতর্ক করতে পারবেন। এতে সেই ব্যক্তি সতর্ক হয়ে করোনা টেস্ট করতে পারবে বা আইসোলেশনে থাকতে পারবে।
এখনও করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আসেনি। এমন পরিস্থিতে অনেক দেশ কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ দিয়ে সম্ভাব্য রোগী শনাক্ত করেছে এবং এদেরকে চিন্নিত করে আইসোলেসন এ পাঠাচ্ছে এইভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।