নিউজ ডেস্ক: কুমড়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই অনেক চিকিৎসকও কুমড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে কুমড়ার মতো এর পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তা অনেকের হয়তো জানা নেই । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা চোখের সমস্যা, যেকোনও কিছুতেই কুমড়া শাক খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও কুমড়া শাক খেলে আরও যেসব উপকার পাবেন, তা হল-
কুমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা দেহে রক্তের অভাব হতে দেয় না। যেহেতু নারী এবং শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি থাকে, সেই কারণে তাদের খাদ্যতালিকায় এই পাতা রাখা দারুণ কার্যকরী।
কুমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এ কারণে এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যদি কোনও আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই এই শাক তাঁর সমাধান করবে। সেইসঙ্গে এতে থাকে ভটামিন এ। এই দুই ভিটামিন মিলে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে । সেই সঙ্গে চুলও ভালো রাখে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ কুমড়ার শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের জন্যও কুমড়া শাক খুবই উপকারী। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে।
কুমড়া শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২-৩ বার কুমড়া শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এতে চোখে কম দেখার সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও, এটি ছানির মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করতে পারে।
‘হু’- এর তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর কারণে ক্যানসারের স্থান দ্বিতীয়। অনেকেই জানেন না, কুমড়ার পাতা ক্যানসারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এতে অ্যালকালয়েড, রেসিন, হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড, ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ইত্যাদি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাধারণত শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহের কারণে অনেকসময় ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি হয়। কুমড়ার পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ক্যানসার কোষ তৈরিতে বাধা দেয়। এছাড়া এতে থাকা ক্লোরোফিল, ফেনলিক যৌগ, স্যাপোনিন গ্লাইকোসাইড, ফাইটোস্টেরলের মতো উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
এছাড়াও, কুমড়া পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা পরিপাক ক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই ফাইবার পেটখারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে।