অশ্লেষা চৌধুরী: নিত্য দিনের নানান কাজ করতে গিয়ে আমাদের সকলকেই অনেকরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতসবের মধ্যে একটু অসাবধান হলেই কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অসাবধানতাবশত কেটে যেতে পারে হাত বা পা-ও। হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা হলে জেনে নিন কী করবে-
কেটে গেলে প্রথমেই ঘাবড়াবার কিছু নেই। যদি কাটা স্থান থেকে অল্প অল্প করে রক্ত বের হতে থাকে তবে অন্য হাত দিয়ে ক্ষতস্থানের ওপরে খানিকটা সময় চেপে ধরে রাখুন, রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও যা করতে পারেন, তা হল-
কাটা স্থান দ্রুত পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ক্ষত যদি হাতে হয় তবে হাতটি উঁচু করে রাখুন এতে তাড়াতাড়ি রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
জীবাণুনাশক কোনও তরল (যেমন – সেভনল, ডেটল) দিয়ে কাটা স্থান ধুয়ে নিন। ক্ষতস্থানের সংক্রমণ রোধে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে কাটা স্থানটি ঢেকে রাখুন।
পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সহজেই, যেমন-
হলুদের গুঁড়ো: রান্নাঘরে সবচেয়ে সহজে যা পাওয়া যায়, তা হল হলুদ। এই হলুদ গুঁড়ো দিয়ে খুব সহজে রক্ত বন্ধ করা যায়। হলুদ হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। কাটা স্থানে কিছু পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো লাগিয়ে নিন। দেখবেন রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছে নিমেষেই।
বরফ: রক্তপাত বন্ধের আরও একটি উপায় হল বরফ। কেটে যাওয়া স্থানে একটি বরফের টুকরো চেপে ধরে রাখুন। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাবেন রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কফি পাউডার: সকালের ঘুম ভাঙ্গার পর এক কাপ কফি দিয়ে অনেকেই দিন শুরু করেন। এই কফির গুঁড়ো রক্তপাত বন্ধ করতেও কিন্তু বেশ কার্যকর। যে স্থানে রক্ত পড়ছে সেখানে খানিকটা কফির গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
টি ব্যাগ: হঠাৎ করে হাত বা পা কেটে গেলে সেই জায়গায় ব্যবহৃত টি ব্যাগ অথবা নতুন টি ব্যাগ ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে এবং কাটা জায়গায় ঠান্ডা অনুভূতি দেবে।
লবণ জল: লবণ জল ভাল প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। একটি পাত্রে জল নিয়ে, তার মধ্যেএক চিমটি লবণ দিয়ে দিন। এবার কাটা হাতটি জলে ডুবিয়ে রাখুন। প্রথমে একটু জ্বালাপোড়া করবে ঠিকই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে যদি ক্ষতস্থানটি খুব গভীর হয় এবং একনাগাড়ে রক্ত ঝরতেই থাকে, তবে অবশ্যই দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি লোহা বা টিনে কেটে যায় তাহলে অবশ্যই ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিটেনাস ইঞ্জেকশন নিতে হবে।