অশ্লেষা চৌধুরী: শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় আমরা ভুগে থাকি অনেকেই। আর শীতকাল মানেই সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়৷ তাই এই সমস্যা দূর করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন। সবার প্রথম যা করতে হবে, তা হল দৈনিক রুটিনের সাথে যুক্ত করুন আপনার ত্বকের পরিচর্যা । সারাদিনের ব্যস্ত শিডিউলে নিজের যত্ন করার সময় নেই, সেই অজুহাত দিলে চলবে না৷ সারাদিনের কাজের ফাঁকে সময় বের করুন নিজের জন্য ৷ যত্ন নিন আপনার ত্বকের৷ আর যা যা করবেন-
সঠিক ক্রিম বাছাই:
বাজারে উইন্টার ক্রিমের রমরমা৷ প্রতিযোগিতায় কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই ৷ তবে এই ক্রিম বা বডিলোশন কেনার আগে তার মধ্যে থাকা ফর্মুলাগুলো যাচাই করে নিন ভাল করে৷ এই মৌসুমে সাধারণত বেশিমাত্রায় ক্রিমি ফর্মুলার প্রয়োজন, যা চলতি বাজারে বেশিরভাগ ক্রিম বা ময়শ্চারাইজারে থাকে না৷ তাই কিছু বিষয় খেয়াল রেখে এসব জিনিস কিনুন।
লক করুন শরীরের আর্দ্রতা:
শীতে তাপমাত্রা প্রায়শই একক অঙ্কে নেমে যায় এবং আর্দ্রতাও প্রায় থাকে না বললেই চলে৷ ত্বকের রুক্ষভাবও বাড়ে ৷ তাই এই আর্দ্রতাতে লক করা প্রয়োজন৷ আপনার রোজকার রুটিনে রাখতে হবে ফেসিয়াল অয়েল । আপনার প্যাকের সাথে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল। এটি ত্বকের ওয়েল ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করবে৷
স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বাছুন দেখে শুনে:
ফোমিং ফেস ওয়াশগুলি সাধারণত ত্বক শুষ্ক করে দেয় ৷ এটি রোধ করতে ব্যবহার করুন ফেনাহীন ফেস ক্লিনজার, যা আপনার স্কিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ত্বককে বিশুদ্ধ বা ডিটক্সাইফাই করার জন্য ফেস মাস্কগুলিও ব্যবহার করা যেতে পারে। ময়শ্চারাইজিং শীট মাস্ক রাতারাতি ফিরিয়ে আনতে পারে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়া প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের পেজেই আপনারা পেয়ে যাবেন সেই ঘরোয়া প্যাকের সন্ধান।
মৃত কোষ দূর করুন:
শীতের সময় মৃত কোষ একটি বড় সমস্যা, যা চুলকানি বা র্যাশের মত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে ৷ বিশেষত আপনার হাত,পা, নাকের পাশে ও ঠোঁটে দেখা দিতে পারে এই সমস্যা ৷ এক্সফোলিয়েটিং করলে মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি৷ সপ্তাহে একবার হলেও ঠোঁটে স্ক্রাব করুন৷ এছাড়া সপ্তাহে তিনবার বডি স্ক্রাব করবেন।
বেছে নিন সঠিক খাবার:
আপনার প্রতিদিনের খাবারে সঠিক পরিমাণে জল পান করা অবশ্যই উচিৎ ৷ ক্রিম এবং ময়শ্চারাইজারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল বা পানীয় পদার্থ, যেমন- ফলের রস পান করুন বা জলের পরিমাণ বেশি এমন ফল বা সব্জি খেতে পারেন ৷ এর সঙ্গে খেয়াল রাখুন আপনার ডায়েটে যেন থাকে সম পরিমাণ ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার।