নিউজ ডেস্ক: কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা পুরোনো আমল থেকেই চলে আসছে। প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চার ক্ষেত্রে কমলার খোসা বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে। আধুনিক যুগেও শীতকালীন এই ফল ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে রোদের তাপ ও ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য বেশি ট্যানিং বা রোদপোড়া-ভাব হওয়া দূর করতে কমলার খোসার রয়েছে অনেক ক্ষমতা। এছাড়াও কমলা ত্বকের যত্নে আরও বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। যদিও আজকাল বাজারজাত রূপ চর্চার জিনিসে কমলার নির্যাস থাকে, তবে কেমিক্যাল যুক্ত সেসব পণ্য ব্যবহার না করে সরাসরি কমলাকেই সঁপে দিন নিজের ত্বকের যত্নের ভার। কীভাবে কী করবেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক-
ব্রণ কমাতে কমলার খোসা: কমলার খোসা ছাড়িয়ে তা রোদে শুকিয়ে নিন দু থেকে তিন দিন। খোসাগুলো শুকিয়ে গেলে তার সঙ্গে ওটমিলের গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে এটা স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় অথবা মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারেন প্যাক হিসেবে। তবে কেবল স্ক্রাব করে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন, এতেও ফল মিলবে।
বলিরেখা কমায়: কমলায় উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটা ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সের ছাপের বিরুদ্ধে কাজ করে বলিরেখা পড়া থেকে রক্ষা করে। এক্ষেত্রে কমলার রস নিয়ে তা সারা মুখে মাখুন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
রোদপোড়া সারাতে: ‘অরেঞ্জ আইস প্যাক’ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য বরফের ট্রে’তে কমলার রস ঢেলে রেফ্রিজারেইটরে রেখে বরফ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর বরফের কিউবটি মুখে ঘষুন। এতে আরাম অনুভব করবেন এবং ত্বকে রোদপোড়াভাব দূর হবে। এছাড়াও রোদপোড়া-ভাব দূর করতে এক টেবিল-চামচ কমলার খোসার গুঁড়োর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো, আধা চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে ভেজা হাতে আলতোভাবে মালিশ করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে: কমলার রস ও মধুর সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ ও গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর সামান্য জল নিয়ে তা মুখে স্ক্রাব করুন। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তবে খেয়াল রাখবেন, উল্লেখিত কোন উপাদান যদি আপনার অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে তবে তা ব্যবহার না করার পরামর্শ রইল।