নিউজ ডেস্ক: আমাদের অনেকের ঘরেই তিলের ব্যবহার হয়ে আসছে সুদূর অতীত থেকে। বিশেষ করে শীতকালে তিলের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। ছোট্ট এই তিল কিন্তু খাবারে স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, অনেক পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এর রয়েছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক আশ্চর্যজনক ক্ষমতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক তিল ব্যবহারে কি কি হয়-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
সাদা তিলে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়ামে ক্যান্সার বিরোধী গুণ রয়েছে। ক্যান্সার বিরোধী যৌগিক ফাইটেটও তিলে পাওয়া যায়। এটি দেহে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
হজমে সহায়ক
তিলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা হজমের জন্য উপযুক্ত। এতে থাকা ফাইবারের উচ্চ মাত্রা অন্ত্রের মসৃণ কার্যকারিতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
তিলের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডগুলিও এতে পাওয়া যায়। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়।
হাঁপানি রোধ করে
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, যেমন হাপানিতে ভুগছেন এমন মহিলাদের তিল বীজ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপ মহিলাদের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। তিলের ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়ক, কারণ এর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সীসএমিন নামক একটি যৌগও তিলে উপস্থিত থাকে। এই দুটি একসাথে মিলে শরীরের রক্তচাপ স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
৩৫ বছর পরে, মহিলাদের তিল খাওয়া বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এই বয়সে হাড়ের ভেতরে থাকা মজ্জা কমতে শুরু করে এবং তাই ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তিল মহিলাদের জন্য বিশেষত মেনোপজের পরে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। তিলের ব্যবহার কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, আপনার ত্বকের জন্যও ভাল। তিলের ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুল ক্ষতি রোধ করে।
তিল দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ঘরের একটি অংশ ছিল। সাধারণত শীতে তিলের লাড্ডু বা নাড়ু তৈরি করে খাওয়া হয়। এগুলি তিলের সাথে চিনি বা গুড় মিলিয়ে তৈরি করা হয়। এছাড়াও নুডলস, ভাত বা স্যালাডেও তিল ছিটিয়ে খেতে পারেন। খাবারে তিল ব্যবহার করলে এটি খাবারে ক্রাঞ্চি ভাব এনে দেয়, ফলে সেই খাবারে স্বাদও বেড়ে যায়।