বর্তমানে ইন্টারনেট মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারী ব্যবস্থা যা ছাড়া আপনার অফিস থেকে নিজস্ব কাজ সম্পূর্ণ অচল। সেই সঙ্গে সাইবার থ্রেট ও সাইবার অ্যাটাক মানব জীবনের এক অন্যতম প্রধান অভিশাপ। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি তার প্রধান কারণ তার জন্য বিপদে পড়তে হয় প্রায় নিয়মিত। এইসব সাইবার অ্যাটাক নির্মূল করতে ভারত সরকার নয়া পলিসি তৈরি করেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো টেক জায়েন্ট অ্যাপেতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার পর ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কোন অ্যাপ তাদের দরকার ছাড়া ব্যবহারকারীর কোনো ব্যক্তিগত তথ্য আর নিতে পারবে না।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার ইতিমধ্যে পলিসি আনার জন্য কাজ চালু করে দিয়েছে যাতে বলা হয়েছে কোন অ্যাপ তার কাজের বহির্ভূত ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারকারীর থেকে নিতে পারবে না। প্রতিনিয়ত সাইবার অ্যাটাক, ফিশিং, ডাটা চুরি ইত্যাদি ঘটনা বাড়তে থাকায় সরকারকে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফোন কেনার সময় যে সমস্ত অ্যাপ আগে থাকতে ইন্সটল করা থাকে, সেই সমস্ত অ্যাপ আর এডভার্টাইজিং নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না।
প্রসঙ্গত,ভারতবাসীকে গ্লোবাল ডাটা ব্রীচ থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার ডাটা লোকালাইজেশনের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও ভারতবর্ষের সমস্ত নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের কপি ভারতের একটি সার্ভারে রাখার কথা বিলে বলা আছে।কিন্তু কিছু ক্রিটিকাল মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য শুধুমাত্র ভারতেই সঞ্চিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ক্রসবর্ডার ডাটা ট্রান্সফার করার প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়েছে। ভারত সরকার ডাটা প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিল গত ১ বছর ধরে আনার চিন্তাভাবনা করছে।
UK অ্যাড রিসার্চ ফার্ম Compritech এর একটি রিসার্চে জানা গেছে, রাশিয়া ও চীনের ডাটা সিকিউরিটি রক্ষা করার বিষয়ে ভারত অনেক এগিয়ে আছে। বর্তমানে টিকে থাকতে হলে দেশের শুধুমাত্র সামরিক শক্তি যথেষ্ট নয়, সেই সাথে ডাটা সিকিউরিটি সিস্টেমে উন্নত হতে হয়। সাম্প্রতিক ভারতের চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক বা নাগরিকদের ব্যক্তিগত ডাটা রক্ষার জন্য পলিসি প্রকাশ, এই পলিসি শক্তিশালী দেশ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।