নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার বিকাল ৫টা থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বড় শহর গুলি চলে যাচ্ছে লকডাউনের আওতায়। গন পরিবহন , সরকারি ও বেসরকারি অফিস, আদালতের সাধারন শুনানি, কারখানা আগামী শুক্রবার অবধি পুরোপুরি বন্ধ। বন্ধ থাকবে হোটেল রেস্তোরাঁ , শপিং মল। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ। আর এই পরিষেবার মধ্যে রয়েছে খাদ্য শস্য , দুধ, ওষুধ, মাছ মাংস ইত্যাদি। এই সময়ে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যাবে শহর। শহরের বাইরে বেরুনো ও ঢোকার পথ অবরুদ্ধ করে দেবে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরে ঢোকা বা বের হওয়া নিষিদ্ধ।
যদিও সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগেই কয়েক দিন ধরেই মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সব মহল থেকে। কিন্তু তার পরেও বহু মানুষের গা-ছাড়া মনোভাব বারবারই সামনে এসেছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পুলিশি অ্যাকশন শুরু না হলেও, জানা গেছে, বিকেল ৫টা থেকে ‘অফিসিয়াল’ লকডাউন শুরু হতেই পুলিশ দায়িত্ব নেবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই দেশের সব রাজ্যের কাছেই বার্তা দিয়েছেন, লকডাউন ভাঙলে কড়া অবস্থান নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনকেই কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এই রাজ্যে সেই কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। বলা হয়েছে লকডাউন ভাঙলে বা কেউ কোয়ারেন্টাইনে যেতে না চাইলে, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে। নবান্নের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে স্পষ্ট বলা হয়, মহামারী নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ীই কিছু পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। কেউ সরকারি এই আদেশ ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
যেহেতু পুলিশকেই সমস্ত দেখার ভার দেওয়া হয়েছে তাই পুলিশের স্বাস্থ্য নিরপত্তার সম্পুর্ন দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার।
জানা গেছে, প্রতিটি পুলিশের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা যায়, সে জন্য দু’লক্ষ কিট কিনেছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি কিটে থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-অনুমোদিত মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার। ৭০০ টাকা করে দাম এই প্রতিটি কিটের। এই জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও ভাবেই কোনও আপস করা যাবে না বলেই জানা গিয়েছে সরকারি তরফে। আর লক ডাউন ভাঙলে ছ’মাসের জেলের পাশাপাশি থাকছে জরিমানা। মনে রাখবেন এই ক্ষেত্রে আইনি পরিষেবার সুযোগ না ও পেতে পারেন। কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাঁর উকিল থানা অবধি যেতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা কোথায় ?