নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউন কার্যকর করতে বেয়াদপ জনতাকে বাগে আনতে পুলিশের ভূমিকা যখন বহু জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে ঠিক তেমনই বাড়াবাড়ির অভিযোগও এসেছে। কোনও কোনও জায়গায় পুলিশের মারের মুখে পড়েছেন সাপ্লায়ার থেকে হোম ডেলিভারি দিতে যাওয়া মানুষও। এবার পুলিশের মারে মৃত্যুর আভিযোগ উঠল।
বুধবার সন্ধেবেলা হাওড়ার সাঁকরাইলের বাণীপুর এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে নাম লাল স্বামী (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল পরিবার। যদিও প্রশাসনের পাল্টা দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী দুধ আনতে বেরিয়েছিলেন। তখনই জটলার মধ্যে লাঠিচার্জ করছিল পুলিশ। তার মধ্যেই পড়ে যান তিনি। এরপর ওই যুবককে স্থানীয়রা নিয়ে যান হাজি এসটি মল্লিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও হাওড়ার ডিসি সাউথ রাজ মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “ওই ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” লাঠিচার্জের কথাও অস্বীকার করেছেন এই আইপিএস।
রাস্তায় জটলা দেখলেই জেলায় জেলায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত। কোথাও কানধরে ওঠ-বোস করানো তো কোথাও লাঠি উঁচিয়ে পুলিশের তেড়ে যাওয়ার ছবি উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র। কলকাতাতেও দু’হাজারের বেশি গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এবার পুলিশের মারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল হাওড়ায়।
এদিকে মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কার্যতঃ বহু ক্ষেত্রেই এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েই বলেছেন, জরুরি অবস্থাকালীন পরিষেবা যাঁরা প্রদান করছেন তাঁদের পাশ দেওয়া হবে। ৩১শে মার্চের পর লক ডাউন কিছুটা শিথিল করা যায় কিনা তাও প্রশাসনিক ভাবে পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানান ।