Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গএনজিপি স্টেশনের রেক থেকে সিমেন্ট সংগ্ৰহ করতে গিয়ে ওভারহেড তারে লেগে ঝলসে...

এনজিপি স্টেশনের রেক থেকে সিমেন্ট সংগ্ৰহ করতে গিয়ে ওভারহেড তারে লেগে ঝলসে মৃত্যু যুবকের

নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির এনজিপি স্টেশনের গুডস ওয়ার্ডে সিমেন্ট রেক থেকে খোলা সিমেন্ট সংগ্ৰহ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক যুবক। সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়ির উপরে থাকা খোলা সিমেন্ট সংগ্রহ করার সময় ভুল বশত তাঁর হাত লেগে যায় লাইনের ওপরে থাকা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে। সাথে সাথেই জ্বলে ওঠে তাঁর শরীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

বুধবার সকালে প্রায় সকলের চোখের সামনেই ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন চত্বরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ রাজা।সে সোনাপুরের বাসিন্দা।এনজেপি স্টেশনে দিনমজুরের কাজ করতো সে।মূলত মালগাড়িতে সিমেন্ট আসলে রাস্তায় ও মালগাড়ির উপরে পড়ে থাকা সিমেন্ট সংগ্রহ করতে দেখা যায় বহু যুবককে।আর সেই সিমেন্ট নিতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে।উপরে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এলে নিমেষে ঝলসে যায় ওই যুবক।পরে স্থানীয়রা ছুটে আসে।

ঘটনার খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিশ ও জিআরপির পুলিশ কর্মীরাও পৌছান সেখানে।দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এদিকে এই ঘটনার পর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ অন্যান্য শ্রমিকদের চোখেমুখে।শ্রমিক সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

জানা গেছে সিমেন্ট বোঝাই রেক গুলির ওপরে থাকা এই খালি সিমেন্ট সংগ্ৰহ করার পর তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়। হাজার হাজার বস্তা আসে রেলের রেক বোঝাই হয়ে ফলে প্রচুর পরিমান গুঁড়ো সিমেন্ট থাকে যা সংগ্ৰহ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। স্থানীয় কিছু মানুষ এঁদের কাছ থেকে ওই খোলা সিমেন্ট কিনে নিয়ে বস্তা অথবা প্লাস্টিক ভর্তি করে তা আবার বাজারে কেজি দরে বিক্রি করেন। বাজারের চলতি সিমেন্টের চাইতে দাম অনেকটাই কম হওয়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এর চাহিদা রয়েছে।

অনেক সময় অসাধু ঠিকাদারের দলও এই সিমেন্ট ব্যবহার করে ফলে এই সিমেন্টের একটি সমান্তরাল বাজার রয়েছে। আর যে কারণেই এই সিমেন্ট সংগ্ৰহ করতে সাধারন গরিব মানুষের দল বিপজ্জনক ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যদিও এই বিপজ্জনক বিষয়টি কী ভাবে রেল পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীর চোখের সামনে ঘটে থাকে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular