নিজস্ব সংবাদদাতা: রেলনগরীর পত্তন দিয়ে শুরু হয়েছিল এক শহরের অন্য শহর জেলা সদর। একদিকে ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতিবিদ, ঘড়ি আর কামরার কারিগর এসেছিল ইংল্যান্ড ছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া আমেরিকার সহ ইওরোপ থেকে অন্য শহর শুধুই ইংল্যান্ড অধীশ্বরীর দেশ থেকে, শাসনকর্তা হয়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এক শহরে শুয়ে আছে অত্যাচারী বার্জ ডগলাস পেডি অন্যশহরের কারিগর সিমেট্রিতে রবার্টসন, উইলিয়াম, টমাস। সে সব আজ ইতিহাস। এখন খড়গপুর আর মেদিনীপুর মানে শুধুই সেক্রেড হার্ট, ইউনিয়ন চার্চ, খড়গপুরের প্রাচীন গির্জা অথবা নির্মল হৃদয় আশ্রম, ব্যপ্টিস্ট চার্চ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
টমাস, অ্যান্থনি, রবার্ট, রেডেনরা আজ মেদিনীপুরের সিপাইবাজার, কুইকোটা অথবা ঝাপেটাপুর, ঝুলি, ছোট ট্যাংরায়। অতীত চারিতা ভুলে আজ তারা হয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান অথবা দেশীয় ক্রিশ্চিয়ান। আজ সবাই ভারতীয়। শুধু দুই শহরের অতীত জাগিয়ে জেগে থাকে চার্চ অথবা গির্জা। আর বড়দিন এখন শুধুই ক্রিশ্চানদের নয়, উৎসবের মেজাজে তাই দুই শহর জুড়ে চ্যাটার্জি ব্যানার্জী রায় সেন মজুমদারাদি সব্বাই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দুই শহর জুড়ে মঙ্গলবার রাত জাগছে আমজনতা। মেদিনীপুরের চার্চস্কুলের প্রাঙ্গন কিংবা খড়গপুরের বড় গীর্জা কিংবা সেক্রেড হার্টের রাস্তায় রাত ১০টা থেকে তুমুল ভিড়। দোকানপাট, হৈহুল্লোড়ে মেতে উঠেছে তরুন তরুনী থেকে কচিকাঁচার দল। গির্জাগুলির ভেতরে যখন ধর্মভীরু ক্রিশ্চানরা বিশেষ প্রার্থনায় রত তখন বাইরে তাঁদেরই ভিন ধর্মের প্রতিবেশিরা ভিড় জমিয়েছেন রাত ১২টার অপেক্ষায়। এমনই সময় জন্মেছিলেন বেথলেহেমের সবার প্রিয় শিশুটি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রতিটি গির্জায় তাই আস্তাবলের ধাঁচে খড় ঘাস দিয়ে বানানো হয়েছে পর্ণ কুটির। রয়েছে কুমারী মেরী আর ছোট যীশুর প্রতিমূর্তি। রয়েছে মেষ শাবকের দল। প্রার্থনার সময় সেখানেই অপেক্ষায় জনতা। কোথাও কোথও অতি উৎসাহীর দল সলতে পাকিয়ে বোম আর পটকা নিয়ে হাজির। মধ্যরাতের ঘন্টাধ্বনির সাথে সাথে শুরু হবে অকাল দিওয়ালি। সব মিলিয়ে ১০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও টগবগ করছে দুই শহর।