নিউজ ডেস্ক: তিস্তা পাড়ের খোলা হাওয়ায় শিল্পীদের মন খুলে ছবি আঁকার জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করল তরাই-ডুয়ার্স আর্টিস্ট ফোরাম সংগঠন। শুক্রবার সংগঠনের সদস্যরা মিলে এক অন্য পরিবেশের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ছবি আঁকলেন। করোনা কালের দীর্ঘ ঘরবন্দি জীবন কাটানোর পর প্রকৃতির ঝরা আলোতে বহুদিন বাদে ক্যানভাস খুলতে পেরে খুশি চিত্র শিল্পীরা।
জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকার চিত্রশিল্পীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে গড়ে তোলা হয়েছে তরাই-ডুয়ার্স আর্টিস্ট ফোরাম। ইতিমধ্যেই এই ফোরামের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে একটি আর্ট কলেজ গড়ে তোলার দাবি তোলা হয়েছে। তরাই-ডুয়ার্স আর্টিস্ট ফোরাম সংগঠনের সভাপতি আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী নীহার মজুমদার বলেন, সমাজের প্রতি চিত্রশিল্পীদের একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে।কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে তারা ছবি আঁকবেন।বিভিন্ন এলাকার চিত্রশিল্পীদের এক ছাদের তলায় আনতেই আমরা এই ফোরাম গড়ে তুলেছি।
নীহার মজুমদার আরও জানান, বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় পঞ্চাশ জন চিত্রশিল্পী ইতিমধ্যেই তাঁদের এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে চিত্রশিল্পীদের নিয়ে কোনও সংগঠন ছিল না। এবার সকলে মিলে একত্রিতভাবে কাজ করতে পারবেন। এই লক্ষ্য নিয়েই একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হল। এই সংগঠনের মাধ্যমে দুঃস্থ চিত্রশিল্পীদেরও সহায়তা করা যাবে। তাঁদের এই সংগঠন উত্তরবঙ্গ জুড়ে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
সংগঠনের এক সদস্য জানিয়েছেন, একজন শিল্পী একক ভাবে শিল্প সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু এই সৃষ্টির, মুক্ত ভাবনা আর খোলা মনে তুলির আঁচড় কাটার পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যার মুখোমুখি সামগ্রিক ভাবে সমস্ত শিল্পী সমাজকেই হতে হয়। এই খানে শিল্পীদের সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, নিজেদের সংগঠন গড়ার প্রয়োজন রয়েছে। আবার সামাজিক কিছু সুবিধা যা পেলে ব্যক্তি শিল্পীর সুবিধা হয় তার জন্যও আমাদের একত্রিত হওয়া দরকার। এই সব ধারনা থেকেই এই আর্টিস্ট ফোরামের ভাবনা। আজ একসঙ্গে নানা বয়সের শিল্পী ও নানা মাধ্যমের শিল্পের পাশাপাশি আমরা শিল্পীমনের বিভিন্ন ভাবনার প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি। এই মেলবন্ধন টাই আমাদের আজকের সবচেয়ে বড় পাওনা।
নতুন এই ফোরাম গঠনের পর জলপাইগুড়ি জেলার চিত্রশিল্পীদের নিয়ে এটি দ্বিতীয় কর্মশালার আয়োজন। তুলির টানে শিল্পীরা সকলেই নিজস্ব ভাবনায় ছবি এঁকেছেন এখানে।