নিজস্ব সংবাদদাতা: কয়েকমাস বাদে আবারও নেকড়ের হানা গৃহস্থের গোয়ালে। এবার নেকড়ের পালের বলি হল ৩টি ছাগল। সোমবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানা এলাকার নয়াগাঁ গ্রামে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ঘন জঙ্গল বেষ্টিত সাঁকরাইলের রোহিনী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নয়াগাঁর এক গৃহস্থ পতন বেরার ছাগল রাখার গোয়ালে সোমবার ভোর রাতে হানা দেয় নেকড়ের পাল। ছিটে বেড়ার দেওয়াল ভেঙে তারা ঢুকে পড়ে গোয়ালে। ছাগলের আর্ত চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় গৃহস্থের। এরপরই তারা দৌড়ে গিয়ে দেখে নেকড়ের পাল পালিয়ে যাচ্ছে। উধাও তিনটি ছাগল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পতন বেরা বলেন, ” ছাগলগুলোর চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায়। দৌড়ে গোয়ালে গিয়ে দেখি তিনটে নেকড়ে ছুটে পালাচ্ছে। তাদের পিছনে ধাওয়া করে দেখতে পাই একটা ছাগল মরে পড়ে আছে। তার গলার নলি ও পেট চিরে দিয়েছে নেকড়ের পাল। আরও দুটো ছাগল খেয়ে ফেলেছে ততক্ষনে। বাড়ির গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে ৩ টি ছাগল খেয়ে নেয় । আধ খাওয়া অবস্থায় বাড়ি থেকে কয়েকশ মিটার দুরে একটি জমির ধারে পড়েছিল।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পতন বেরা আরও বলেন , ” বাড়ির পিছন দিকে গোয়ালঘর হওয়ায় প্রথমদিকে নেকড়েদের ঢুকে পড়ার বিষয়টি জানতে পারা যায় নি। তিনটি ছাগলের ওপর আক্রমণ চালানোর পর বড় দুটি ছাগলের দিকে হায়না গুলি এগিয়ে গেলে সেগুলি চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে গোয়াল ঘরের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখা যায় তিনটি হায়না একটি আধখাওয়া ছাগলকে টানতে টানতে দৌড়ে পালাচ্ছে। লাঠি নিয়ে তাড়া করতেই তারা রোহিণীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য কয়েকমাস আগেই এই থানারই ডাহি গ্রামে এক গৃহস্থের গোয়াল থেকে ৬টা ভেড়া তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়ের পাল। সেবার অবশ্য সেই পালের দেখা মেলেনি ফলে গুজব ছড়িয়েছিল অজানা জন্তুর। বনদপ্তর জানিয়েছে, হায়না বলে অনেকে ভুল করলেও এগুলো আসলে নেকড়েরই একটি প্রজাতি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ইন্ডিয়ান উলফ বলে পরিচিত এই প্রজাতি জঙ্গলের শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে বাড়ছে। বনদপ্তরের মত এটা পরিবেশের পক্ষে ভাল। উপযুক্ত প্রমান দাখিল করলে সরকার এর ক্ষতিপূরন দেবে। যদিও ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে গ্রামবাসীদের মধ্যে কারন চাষবাসের পর পশুপালনই এঁদের দ্বিতীয় প্রধান জীবিকা। গ্রামে ও গ্রামের বাইরে নেকড়ের আক্রমন ঠেকাতে লাঠিসোটা নিয়ে ঘুরছেন মানুষজন।