নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিনের বিরতি নিয়ে ফের ৫০০ ছাড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। প্রায় ৭দিন পর ১০ই মে চারশর নিচে নেমেছিল কিন্তু ১১ই মে ফের দৈনিক সংক্রমন ছুঁল ৫০১ জনে। এদিনও জেলার সিংহভাগ সংক্রমন মিলেছে মেদিনীপুর শহরে। যদিও এদিন শহরে
সংক্রমন হার কিছুটা কমেছে। গত কয়েকদিন জেলার মোট সংক্রমনের ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ছিল শহরে। মঙ্গলবার সেটা নেমে হয়েছে ২৬ শতাংশ। তবে ভাবাচ্ছে শহরের পারিবারিক সংক্রমন। খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে ৯টি পরিবার থেকেই আক্রান্ত ৩০জন। যেমন বিধাননগরে ১টি পরিবারেরই ৬জন আক্রান্ত। হবিবপুরে একই পরিবারে ৩জন। কুইকোটায় ২টি পরিবার থেকে ৪জন। এরকমই কুইকোটা, মির্জাবাজার, পাটনাবাজার, আবাস কোথায় নেই পারিবারিক সংক্রমন?
এদিন মেদিনীপুর শহরে সর্বোচ্চ সংক্রমন পাওয়া গেছে কুইকোটা থেকে, ১৩ জন। আবাস থেকে ৯জন এবং বিধাননগর থেকে ৮জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ভাবে শরৎপল্লী ২, রাঙামাটি ৩, পাটনাবাজার ২, হোসনাবাদ, শেখপুরা ২, মির্জাবাজার ৬, তাঁতিগেড়িয়া ৩, ধর্মা ৩, বেনেপুকুর, হবিবপুর ৩, তোড়াপাড়া,
ক্ষুদিরামনগর, গোলকুয়াচক, বিশ্ববিদ্যালয় ২, পালবাড়ি ২, পুলিশ লাইন২, মানিকপুর ২, পুলিশ লাইন, কর্নেল গোলা, অরবিন্দ নগর, রবীন্দ্রনগর ২, খাপরেল বাজার ২, বরিশাল কলোনি, কোতবাজার ২, ছোট বাজার, ভীমচক, পাহাড়িপুর, কেরানিতলা, সিপাই বাজার, পাটনাবাজার, অশোকনগর , মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। শহরের নির্দিষ্ট ঠিকানা বিহীন ৩৬ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। মেদিনীপুর সদর গ্রামীনের
গোপগড়, কঙ্কাবতী মাতালডাঙা, কলমা পাখারিয়া, শিরোমনি, কালগাঙ, যমুনাবালিতে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
খড়গপুর শহরে এদিন ১০৩জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং আইআইটি ক্যাম্পাসে দৈনিক সংক্রমন রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ১৭ জন। শহরের উত্তরে রামকৃষ্ণপল্লী, বামুনপাড়া, বিদ্যাসাগরপুর আদর্শপল্লী, আনন্দনগর মিলিয়ে ইন্দা এলাকায় আক্রান্ত ১০জন। সুষমাপল্লী, ঢেকিয়া সহ মালঞ্চ এলাকায় আক্রান্ত ৬ জন। তালবাগিচা ও দীনেশ নগর মিলিয়ে আক্রান্ত ৫জন। কৌশল্যা ও সুভাষপল্লী থেকে ৩জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে রবীন্দ্রপল্লী,হিজলি সোসাইটি, প্রেমবাজার ছোট ট্যাংরা, খরিদা, পুরিগেট, নিমপুরা, উত্তর ভবানীপুর সহ ভবানীপুর, ছোটআয়মা, গোলবাজার, রেল হাসপাতাল থেকে একজন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে সাউথ সাইড, বারবেটিয়া,ডিভিসি মায়াপুর, বুলবুলচটি,
ক্ষুদিরামপল্লী, সুকান্ত কলোনি থেকে। আরও অন্ততঃ ১০ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে যাঁদের নির্দিষ্ট ভাবে শহরের ঠিকানা উল্লেখ হয়নি।
খড়গপুর গ্রামীনের ঠিকানাহীন ৩ জন ছাড়াও , সতকুই ,নারায়নপুর, গোপালি, শ্যামচক, সামরাইপুর, কলাই কুন্ডা, , বরগাই, পশ্চিম পাথরি, মহিষগোট, গোয়ালাড়া, বেনাপুর অযোধ্যানগর, জকপুর, মদনমোহনচক,এলাসাই, চকরামপুর,সিজা থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে টাটা মেটালিক আবাসন, কাঁটাগেড়িয়া, বড়কলা থেকে।
সবং থানার সবং সদর থেকে ১ আক্রান্ত ছাড়াও , জুলকাপুর থেকে ২জন, বেনেদীঘি বাটিটকি থেকে ৩ জন, চকবাদলপুর থেকে ৪ জন ও বুড়াল থেকে ২ আক্রান্ত পাওয়া গেছে। ১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে বলরামপুর, বিষ্ণুপুর, তেমাথানি, দশগ্রাম, রায়পাড়া থেকে। ডেবরা থানার গয়েশপুর, দামোদরপুর, চককুমার, ঘোলাই, বালিচক ১জন করে আক্রান্ত ছাড়াও পদিমা ডুঁয়া থেকে ২জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
পিংলা থানার সদর ও মালিগ্রাম থেকে ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে সামসাড়া , আখনাগেড়িয়া, রাজমা থেকে।
বেলদা থানার বেলদা থেকেই ৪ জন, সাউরি ও রাজাবাজার থেকে ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। একজন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে সবুজপল্লী, কুটকি রানীসরাই, খালিনা, মহম্মদপুর, সুজানগর, শ্যামসুন্দরপুর মান্না, নবোদয়পল্লী থেকে।
নারায়নগড় থানার নাড়মা, রামপুরায় নতুন করে একজন করে আক্রান্ত।
কেশিয়াড়ী সদরেই আক্রান্ত ১জন।
সিঞাকুল সুখারোল,কেশিয়াড়ি উত্তর দমবুল, সিঞাকুল, কুলাসেনি সাঁতরাপুর, বাবাইপুর, বাঁচাতুল, দুর্গাপুর এবং
দাঁতনের দখিনাবন মেনকাপুর, ভবানীপুর, একামালিপুর ছাড়াও খণ্ডরুই পুলিশ ক্যাম্পে একজন আক্রান্ত।মোহনপুর থানার কসবাগোলা থেকে ২জন, মোহনপুর, জামুয়া, শ্রীরামপুর থেকে আক্রান্ত ১জন করে।
গড়বেতা থানায় আক্রান্ত ৩৬ জন। গড়বেতা সদর, চন্দ্রকোনা রোড, কিয়াবনী ও ডাবচা থেকে আক্রান্ত ৪জন করে। দ্বারিগেড়িয়া থেকে ৩জন। বিলা, দুর্লভগঞ্জ, লেদাগামার ২জন করে আক্রান্ত! ১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে চন্ডি সানমুড়া, হাবরা, সন্ধিপুর, ঝাড়বনি, রাধানগর, ধাদিকা, নেপুরা, লাপুরিয়া, অপর্নাপল্লী, ওড়গাঁজা, আঁধারনয়ন, পানিকোটর, বড়পাড়া, শ্যামপুর থেকে।
গোয়ালতোড় থানার পাথর পাড়া, চাতনি, হাতিয়া বুলানপুর, শালবনি বুলানপুর,
বাঁশডিহা নলবোনা থেকে একজন করে আক্রান্ত।
শালবনী সদরেই ৭ আক্রান্ত ছাড়াও শালবনী থানায় আক্রান্ত ২৫ জন। ,ট্যাঁকশাল সিআইএসএফের ৪ জওয়ান ছাড়াও শালবনী করোনা হাসপাতালের ২ স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও ভাদুতলা, কুতুরিয়া, খুরদা, বাদুড়িয়া,
গোদাপিয়াশাল, বড় সিমলা এবং এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। কেশপুর সদরেই আক্রান্ত ৩, কলাগ্রামে ২জন।
চন্দ্রকোনা: ক্ষীরপাইয়ে ৮ জন, জয়ন্তীপুর ও কামারগঞ্জে ৩জন, গোবিন্দপুর চৈতন্যপুর,বারাদিয়া রসকুন্ডু, কামারবাঁধিতে ২জন করে এবং ভাসানী, হাতিবেড়িয়া, অমর, চাঁদ পুর, ইলম বাজার, কালিকাপুর, মানিককুন্ডু, গোপালপুর, বাগছড়ি পাইকমাজিতা, শোনপুর, হাজিপুর দেবখন্ড, মাড় মহেশপুর, রাইলা, খড়িকাবাজারে ১জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে।
ঘাটাল থানার তিনটি থানা এলাকায় সব মিলিয়ে আক্রান্ত নূন্যতম ১১০ জন। ঘাটালের রানীবাজার ও কোন্নগরে ৫জন করে আক্রান্ত। কুশপাতায় ৪জন, বিরসিংহ ও মোহনপুরে ৩ জন, কিসমত কোতুলপুর, আড়গোড়া, রাধানগরে ২জন, জলসরা, পান্না, ধান্যগাছি, খড়িকা, উদয়গঞ্জ, দলপতিপুর, সুদামবাটি, গম্ভীরনগর, খাড়গম্ভীরনগর, শীতলপুর, কাতান, গোপমহল, দাড়িপুর, চাকান, রামজীবনপুরে ১জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
দাসপুর সদর ও গৌরায় ৪জন করে আক্রান্ত। মামুদপুর, চাইপাট, রামপুর, কাঁটা দরজা,বাসুদেবপুর বানীপুরে ২জন করে আক্রান্ত। রানিচক, বড় শিমুলিয়া, সেকেন্দারি, মানুয়া,পলশা, কমলপুর, শ্যামসুন্দরপুর, কেশবচক, গোছাতি, কলাইকুন্ডু, জোতঘনশ্যাম, বাঁকশাল, ভগবতীপুর, সয়লাতে ১জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে।