ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যপালের আসনে বসার পর থেকেই রাজ্যপাল- মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত লেগেই রয়েছে। যত দিন গেছে তা ক্রমশ জোড়ালো হয়েছে। একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রায়শই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে টুইটের মাধ্যমে সরব হতে দেখা যায়। শনিবারও তার অন্যথা হল না। শনিবার এরাজ্যের মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ আলকায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে টুইটে করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি দিন দিন কতটা অবনতির দিকে এগোচ্ছে তা নিয়েও এদিন সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এদিন টুইটের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পুলিশ প্রশাসন সকলকেই একহাত নিলেন রাজ্যপাল। এদিন তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ দিন দিন বোমা তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে পুলিশ প্রশাসন তা নিশ্চুপ রয়েছেন। পাশাপাশি এদিনের টুইটে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে রীতিমতো এক হাত নিলেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, এই মূহুর্তে রাজ্যের যা পরিস্থিতি সে বিষয়ে অনেকটাই দূরে রয়েছেন রাজ্য ডিজিপি। যা স্বাভাবিকভাবেই খুবই উদ্বেগের বিষয়। তবে এদিনের টুইটে করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন রাজ্যপালের রাজ্যপালের টুইটের পর পরই এই বিষয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তিনি বলেন, যে সমস্ত জঙ্গি ভারতে ঢোকে, তাদের একটা বড়ো অংশ সীমান্ত হয়েই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে যেহেতু সীমান্তে বিএসএফ পাহাড়ায় থাকে সেখানে কেন্দ্র অধীনস্থ বিএসএফ বাহিনী কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তাঁর মতে রাজ্যকে অকারণে দোষারোপ না করে রাজ্যপালের কেন্দ্র সরকারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া উচিত।
তবে শুধুমাত্র রাজ্যপালই নয় শনিবারের এই ঘটনার পর রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।