নিজস্ব সংবাদদাতা: ১০০ঘন্টা পেরিয়েও চলেছিল আপ্রাণ লড়াই। চলছিল দেশজুড়ে প্রার্থনা কিন্তু কোনও চেষ্টা, কোনও প্রার্থনাই কাজে এল না। ৭০ফুট গভীরেই শেষ ঘূমে চলে গেল ২ বছরের সুজিত উইলসন। মায়ের কোলে ফেরা হলনা খেলতে খেলতে অপরিসর গর্তে পড়ে যাওয়া ফুটফুটে শিশুটির। মঙ্গলবার ভোরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সরকারি আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, আধিকারিকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। গর্তের ভিতরেই সুজিতের দেহে পচন ধরেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার রাতে উদ্ধারকাজ চলার সময় সুজিত কোথায় আছে, তা সনাক্ত করে ফেলেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। তারপর ফের শুরু হয় খনন কাজ। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই গর্ত থেকে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে। তার পরই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সিদ্ধান্তে আসেন, সুজিতের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১২ ঘণ্টার চেষ্টার পর তাঁর দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুজিতের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ তার পরিবার। গোটা দেশ তার উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করছিল। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হল না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হঠাৎই অসাবধানতায় ওই গভীর কূপে পড়ে যায় সে। কেউ আশপাশে না থাকায় প্রথমে ব্যাপারটা কারও নজরেই আসেনি। টনক নড়তেই খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং এনডিআরএফ-এর টিমকে। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাজ্যের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ শুরু করেন এনডিআরএফ কর্মীরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রথমে সুজিতকে উদ্ধার করতে গভীর গর্তের ভিতর দড়ি ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। তখন শিশুটি ছিল গর্তের ২৬ ফুট গভীরে। দড়ি তার হাতের কাছাকাছি পৌঁছলে, গিঁট বেঁধে, তা দিয়েই সুজিতকে টেনে উপরে তোলার চেষ্টা করেছিলেন এনডিআরএফ কর্মীরা। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়। দড়ি ধরতে গিয়ে হাত পিছলে, সুজিত গর্তের আরও গভীরে ঢুকে যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মাটির তলদেশে আরও ৭০ ফুট গভীরে চলে যায় সে। আর এর পরই তাকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। গর্তের ভিতর খাবার এবং অক্সিজেন পাঠানো হয়। তার পাশেই আরও একটি ১০০ ফুটের গর্ত খুঁড়ে তার কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টাও করছে উদ্ধারকারী দলগুলি। যদিও সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল শেষ অবধি। টেলিভিশনে সুজিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।