নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের পয়লা জানুয়ারি এক লাফে পারদ নামল আড়াই ডিগ্রি! তাপমাত্রার পারদ পতনের দিক থেকে একে এক প্রকারের রেকর্ড পতনই বলা চলে কারন এ মরশুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমান আরও কম ছিল ঠিকই কিন্তু মাত্র ২৪ঘন্টায় এক লাফে এতটা পারদ পতন হয়নি। বছরের শেষ দিন, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ খড়গপুর মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৩৪ সেলসিয়াস। আর শুক্রবার, ১লা জানুয়ারি, ২০২১ সেই তাপমাত্রা ২.৩৯ডিগ্রি কমে দাঁড়াল ৭.৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বছরের প্রথম দিনটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪৭ এবং দিনের গড় তাপমাত্রা ১৬.৮৩ ডিগ্রি সেলিয়াস ছিল। এদিন উত্তুরে হওয়ার দাপট থাকায় দুই শহরই ঠান্ডায় কেঁপেছে হি হি করে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া উদ্যানের তাপমান যন্ত্র অনুযায়ী ২৯ এবং ৩১শে ডিসেম্বর খড়গপুর এবং মেদিনীপুরে এই সপ্তাহের অপেক্ষাকৃত উষ্ণতম দিন ছিল। কারন ২৯ তারিখ দুই শহরের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭.১৫ ডিগ্রি এবং ৩১তারিখ ১৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গত সাতদিনের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম দিন ছিল ২৭ তারিখ এবং ৩০তারিখ। ওই দিন দুই শহরের গড় তাপমাত্রা ১৫.৮১ ও ১৫.৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। ২৭শে ডিসেম্বরে গত সপ্তাহের মধ্যে সর্বাধিক পারদ পতন হয়েছিল, ৬.৯৬ ডিগ্রি সেলিয়াস।
যদিও এই মরশুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০শে ডিসেম্বর, রবিবার। ওইদিন সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৬১ ডিগ্রি সেলিয়াস। সব মিলিয়ে ধরলে গত ১৫ দিন ধরেই দুই শহরেই শীতের কাঁপন জমজমাট। কারন গত ১৫দিনে খড়গপুর মেদিনীপুরের গড় তাপমাত্রা ১৮ডিগ্রি ছাড়িয়ে উপরে ওঠেনি এবং গড় তাপমাত্রা ২০ডিগ্রির ওপরে না উঠলে ঠান্ডা ভাব কাটবেনা।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী দু’দিন শীতের কিছুটা দাপট থাকবে তবে রবিবার থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করতে পারে। কারন উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের দিকে আসা উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হবে। অন্য দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় থাকতে পারে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে। এর প্রভাবেই বাড়বে পারদ। হওয়া অফিসের হিসেবে অর্থাৎ পূর্বাভাস অনুযায়ী ৫-৬ জানুয়ারিতে খড়গপুর মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রিতে উঠে যেতে পারে। যদিও, উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়া শুরু হলেই ফের শীত বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে।
গত ২০শে ডিসেম্বর থেকে খড়গপুর মেদিনীপুরের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া যাক।